শুধু মমতা নয়, মোদি শাহকেও ছাড়েননি রোদ্দুর রায়, হেফাজতে নিল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদন : কুকথা, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, ঐতিহ্যকে বিকৃত করে ভিডিও তৈরি করা, ইত্যাদিকেই রোজগারের পথ বেছে নিয়েছেন অনির্বাণ রায়। এই অনির্বাণ রায়ই রোদ্দুর রায় নামে খ্যাতি লাভ করেছেন। এখন এই রোদ্দুর রায় রাত কাটাচ্ছেন পুলিশি হেফাজতে।

রোদ্দুর রায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কটু কথা বলার অপরাধে গত সপ্তাহে গ্রেফতার হন। হেয়ার স্ট্রিট থানায় তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার পর তাকে গোয়া থেকে গ্রেফতার করে আনা হয় কলকাতায়। গত সপ্তাহে কলকাতায় তাকে আনার পর ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ১৪ জুন পর্যন্ত তার পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার তাকে পুনরায় আদালতে তোলা হলেও তার জামিন মঞ্জুর করেন নি আদালতের বিচারক। বরং বিতর্কিত এই বক্তার জামিন রুখতে পুলিশ পুরাতন একটি মামলাকে হাতিয়ার করে। বড়তলা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। এর ফলে তিনি আপাতত জামিন পাননি। আপাতত তাকে পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালে রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে বড়তলা থানা এই এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল মূলত দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কুকথা বলার অভিযোগে। তাদের নিয়ে তিনি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছিলেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ জুন পর্যন্ত রোদ্দুর রায়কে পুলিশি হেফাজতের থাকতে হবে।

রোদ্দুর রায় কোন কথা বলে এবং অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও আপলোড করলেও তার জনপ্রিয়তার কিন্তু খামতি নেই। বরং এই পথকে বেছে নিয়ে তিনি এক একটি ভিডিওতে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার করে থাকেন। এইভাবে রোজগার করতে করতে আজ তিনি কোটিপতি।