Royal Enfield: দারুণ খবর, খরচ কমবে কয়েকগুণ, বাজারে আসছে ইলেকট্রিক এনফিল্ড বাইক

শুনলে সত্যি অবাক হবেন যে মোটরসাইকেল বিক্রিতে গত বছরের রেকর্ড ভাঙল রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield) । বাইকের এই সংস্থা চলতি বছরে ৮৩৪৮৯৫ টি ইউনিট বিক্রি করেছে। গত বছরের বিক্রির হিসাব হলো ৬ লাখের সামান্য বেশি বাইক। চাহিদার এইরকম বৃদ্ধি দেখে আরো ১ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেরেন্ট কোম্পানি এইচার মোটরস।

সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ইলেকট্রিক বাইক তৈরি করার জন্য এই টাকা কাজে লাগানো হবে। রয়্যাল এনফিল্ড এর (Royal Enfield) ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা তুঙ্গে। ভারতীয় বাজারে রীতিমতো সারা ফেলে দিয়েছে এই বাইক। নানা মাধ্যমে এই বাইকের ইলেকট্রিক অবতার নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে শেষমেশ জল্পনাকে সত্যি করতে চলেছে রয়্যাল এনফিল্ড।

তবে ভারতে যে ইলেকট্রিক বাইক আনছে রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield) সেটা কিন্তু কার্যত নিশ্চিত। কারণ ২০২৩ অর্থবছরের আর্নিং কলে এই কথা জানিয়েছেন স্বয়ং এইচার মোটরসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ লাল। ভারতের মানুষ কয়েক মাসের মধ্যেই এই ইলেকট্রিক বাইকের নতুন রূপ দেখতে চলেছে। এতদিন সংস্থার পক্ষ থেকে নানা রেঞ্জের পেট্রল বাইক লঞ্চের সাক্ষী থেকেছে বাইক-প্রেমীরা। সূত্রের মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে যে, এবার ইলেকট্রিক বাইকে পুরোদমে মনোযোগ দিতে চলেছে রয়্যাল এনফিল্ড। এই বাইকের ক্রেতারা খুব শিগগিরই এর ফলাফল দেখতে পারবে।

সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, স্পেনের সংস্থা স্টার্ক ফিউচারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে এই কোম্পানি। এই ইলেকট্রিক বাইক সত্যি তাক লাগিয়ে দেবে জনগণকে। আপনারা হয়তো জানেন না যে, গত বছর স্টার্ক মোটরে ৪৩৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ১০.৩৫ শতাংশ স্টেক কেনে রয়্যাল এনফিল্ড। সংস্থাটি ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল তৈরি করার জন্য তামিলনাড়ুতে নতুন কারখানা খুলতে চলেছে।

যখন ভারতে কোনো বাইক লঞ্চ করা হয়, তার আগে একাধিকবার পরীক্ষা চালায় সংস্থা। একাধিক জমিতে এই বাইকের গুণমান যাচাই করে রয়্যাল এনফিল্ড। সেটা মোটরসাইকেল রাইডিংয়ের ক্ষেত্রে কতটা উপযোগী, পারফরম্যান্স ঠিক রয়েছে কিনা এই সব যাচাই করার পরই বাজারে হাজির হয় উক্ত মোটরসাইকেল। সূত্রের দ্বারা জানা গিয়েছে, ব্যাটারি এবং ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (BMS) সহ গোটা ইলেকট্রিক বাইক নিজেদের ফেসিলিটিতেই বানাবে এই সংস্থা। বাইকটি বৈদ্যুতিক হলেও ডিজাইন ও স্টাইলিংয়ের ক্ষেত্রে রয়্যাল এনফিল্ড তার পরিচিত পদ্ধতিই অনুসরণ করবে। উন্নত প্রযুক্তির কথা মাথায় রেখে থাকবে বহু আধুনিক ফিচার্স। যেমন ডিজিটাল কনসোল, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, নেভিগেশন, কি-লেস এন্ট্রি ইত্যাদি।