প্রেম বড় বালাই, রাশিয়ার যুবতী ছুটে এলেন বাংলায়, বিয়ে সাড়লেন বাঙালি মতে

নিজস্ব প্রতিবেদন : রুপালি পর্দায় প্রেমের বিভিন্ন উদাহরণ আমরা প্রতিনিয়ত দেখে থাকি। সে লায়লা মজনু হোক অথবা বীরজারা, গদর : এক প্রেম কথা। তবে বাস্তবেও এই ধরনের উদাহরণ রয়েছে ভুরিভুরি তার প্রমাণ মিলল মুর্শিদাবাদে। বাস্তবেও প্রেমের টানে সুদূর সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে বাংলায় কেউ ছুটে আসতে পারেন তার প্রমাণ মিলল।

সিনেমার এই প্রেক্ষাপটের মতোই রাশিয়া থেকে এক যুবতী বাংলার মুর্শিদাবাদে এসে পৌঁছান প্রেমের টানে এবং সেখানে একেবারে বাঙালি মতে বিয়ে সাড়লেন। বৃহস্পতিবার রাতে রাশিয়ার ওই যুবতীর সঙ্গে মুর্শিদাবাদের যুবকের বিবাহ হয়। তাদের এই বিয়ে নিয়ে যেমন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আলাদা কৌতূহল ছিল সেই রকমই ছিল আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়।

রাশিয়ার নোবোসিবিস্কর বাসিন্দা আলেকজান্দ্রা ইভানোভা মুর্শিদাবাদের কান্দির ছাতিনাকান্দির তাঁতিপাড়ার সহস্রাংশু সিংহকে বিয়ে করতে সুদূর রাশিয়া থেকে ছুটে আসেন। এখানে রাশিয়া থেকে আসা ওই যুবতীকে একেবারে বাঙালি কনের সাজে সাজানো হয়। তারপর বাঙালি মতে মন্ত্র পাঠ করে মালা বদল, সিঁদুর দান সমস্ত কিছু হয়।

জানা যাচ্ছে মুর্শিদাবাদের সহস্রাংশ সিংহ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতেন। সেই সময় ২০১৬ সালে তিনি রাশিয়ার মস্কো গিয়েছিলেন তার অন্য এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে। সেখানেই তার পরিচয় হয় আলেকজান্দ্রা ইভানোভার সঙ্গে। তারপর তাদের পরিচয় ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। সম্পর্ক গভীর হলে করোনার সময় তারা সমস্ত বাঁধা টোপকে এক জায়গায় মিলিত হন এবং সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার।

বিয়ের সেই সিদ্ধান্তের পর অবশেষে বৃহস্পতিবার তাদের দুজনের স্বপ্নপূরণ হল। তাদের এমন পদক্ষেপ দেখে আত্মীয়-স্বজনরা দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য। পাশাপাশি সহস্রাংশর আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিদেশি মহিলাদের বিয়ে করতে গিয়ে অনেকেই বাংলা সংস্কৃতি ভুলে যান। এক্ষেত্রে সহস্রাংশ যা করে দেখালেন তা সত্যিই নজিরবিহীন।