নিজস্ব প্রতিবেদন : গত ২৫ বছরে বিশ্ব বেশ কয়েকটি যুদ্ধ দেখেছে। এই সকল যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে কারগিল যুদ্ধ, ইরাক যুদ্ধ, তালিবানদের আফগানিস্তান দখল ইত্যাদি। আর এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তবে অন্যান্য যুদ্ধের তুলনায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে বিশ্বে। এই দুই দেশের লড়াইয়ের মাঝেই বিভিন্ন সময় এমন এমন জিনিস সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে, যা রীতিমতো কখনো বিশ্বকে কাঁদাচ্ছে, কখনো হাসাচ্ছে, আবার কখনো কখনো ধ্বংসের মাঝে সৃষ্টির দৃষ্টান্ত তৈরি করছে।
যুদ্ধে যাওয়া মানেই জীবন বাজি রেখে লড়াই করতে নামা। সে রাশিয়ার মতো বিশাল শক্তিশালী দেশ অথবা ইউক্রেনের মত দুর্বল দেশই হোক না কেন। ঠিক এমনটাই হয়েছে এক রুশ সেনার জন্য। যখন সে ইউক্রেনে যুদ্ধে এসেছেন সেই সময়ই ইউক্রেনিয়ানদের কয়েকজন মা ও মেয়ে তার হাতে তুলে দিয়েছেন গরম চা আর কেক। আসলে মেয়েদের মন সীমান্তের নিয়ম মানে না, জাত মানে না। যুদ্ধ করতে আসা ওই সেনা ইউক্রেনের মা ও মেয়ের হাতে গরম চা এবং কেক খেয়ে নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।
শুধু তাই না দীর্ঘ কয়েক দিন ধরে পরিবার-পরিজনকে ছেড়ে সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে যুদ্ধ করতে আসার ফলে স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের কথা মনে আসবে। ইউক্রেনে এসে এইভাবে মা ও মেয়ের হাতে চা ও কেক খাওয়ার পাশাপাশি ওই রুশ সেনা ওই মহিলার ফোন থেকেই নিজের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন, নিজের মায়ের সঙ্গে ভিডিও কল করেন। সেই মুহূর্তের ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই ভিডিও প্রমাণ দেয় ধ্বংসের মাঝে সৃষ্টির দৃষ্টান্ত।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোডিমির জেলেনস্কির ফ্যান পেজ নামে একটি পেজ থেকে এই ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছে। ভিডিওটি আপলোড করার পাশাপাশি লেখা হয়েছে, “রুশ সৈন্যরা, তোমরা অস্ত্র ছেড়ে আত্মসমর্পণ করো। ইউক্রেনের মানুষ তোমাদের ক্ষুধা নিবৃত্তির ব্যবস্থা করবে।”
Russian soldier has surrendered and got cried when he was on the face call with his mom.
Russian soldiers, surrender, Ukrainian people will feed you, just surrender.#Ukraine #UkraineUnderAttack #UkraineWar #UkraineRussiaWar #StandWithUkraine #StopPutinNOW pic.twitter.com/MSODT7LMBB— Ashish Durhan (@ashish_5425_) March 2, 2022
এই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ওই রুশ সেনা ভিডিও কলে তার মায়ের সঙ্গে যখন কথা বলছেন সেই সময় তার চোখ দিয়ে জল ঝরছে। পাশাপাশি তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাদের চোখেও জল। আসলে যুদ্ধ, হানাহানি, কূটনীতি, রাজনীতি, স্বার্থ, অহংকার, যা-ই থাকুক না কেন, সবশেষে কিন্তু আমরা মানব জাতি।