অনলাইন শপিং এবং লেনদেন সুরক্ষিত রাখার সহজ কয়েকটি পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্প্রতি করোনা আবহের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোমে অভ্যস্ত মানুষরা অনলাইন শপিং স্বচ্ছন্দবোধ করেন। কিন্তু অনলাইন শপিং করলে যেমন ভীড় এড়ানো যায় তেমন ভয়ও থাকে অনেক। অনলাইন থেকে কোন জিনিস কেনার আগে মানুষের মাথায় একটি প্রশ্ন ঘুরপাক করে যে ব্যক্তিগত যে সকল তথ্যগুলি প্রোভাইড করা হচ্ছে তা পুরোপুরি সুরক্ষিত আছে তো? সাধারণ মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিতেই লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের তরফ থেকে কয়েকটি টিপস দেওয়া হয়েছে।

কোন মানুষ যদি চেক করতে চান অনলাইন শপিংয়ের জন্য প্রোভাইড করা সাইটটা সুরক্ষিত কিনা তাহলে প্রথমেই একজন গ্রাহককে দেখতে হবে যে অনলাইন শপিংয়ের জন্য যে সাইটটা দেওয়া হয়েছে সেটি SSL দ্বারা স্বীকৃত কিনা।

সুরক্ষিত অনলাইন সাইট সব সময় ‘https://’ এইভাবে শুরু হয়। অনলাইন সাইট সুরক্ষিত কিনা সেটি জানতে একজন গ্রাহককে তার দিকেও প্যাডলক সাইনের দিকেও নজর রাখতে বলছেন তিনি।

এছাড়া আরও কতকগুলি টিপস তিনি দিয়েছেন সেগুলো হলো-

১) অনলাইনে শপিং সাইট পরিদর্শন কালে কোনো পপআপ ক্লিক করবেন না।

২) অনলাইন শপিং সাইটে ব্যক্তিগত তথ্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত দেবেন না। যতটা সম্ভব ব্যক্তিগত তথ্য কম দেওয়ার চেষ্টা করুন।

৩) অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে সুপরিচিত মার্কেটপ্লেস অথবা ওয়েবসাইটগুলিই একমাত্র ব্যবহার করুন।

৪) অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রে যদি দেখেন যে বিপুল অফার দিয়েছে তাহলে সে দিকে এগোবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

এখন অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে যখন আমরা কোন কার্ড নম্বর দি তখন আমরা কি করে বুঝবো অনলাইন পেজটি সুরক্ষিত কিনা?

এমন কোন সাইট খোলা উচিত নয় যার কোন SSL শংসাপত্র নেই। আপনি যখন আপনার ব্যাঙ্ক থেকে লেনদেনের আগে একটি কার্ড নম্বর দেন, তখন সাধারণত ফোনে একটি ওটিপি নাম্বার আসে। ভুলেও এই ওটিপি নম্বর কাউকে শেয়ার করবেন না।

অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে ফোন বা কম্পিউটারে কোন অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা ভালো বা নিরাপদ?

কেবলমাত্র ভালো লাইসেন্সযুক্ত অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে এবং কোন অযৌক্তিক লিঙ্কে ক্লিক করবেন না।

অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে আরও কতগুলি বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়। অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি রুখতে সাধারণ মানুষকে নজর রাখতে হবে

১) যখন আপনি কোনো ই-ওয়ালেট ইন্সটল করবেন তখন আপনি যে অ্যাপটি ডাউনলোড করছেন সেটি সঠিক কিনা নিশ্চিত করতে হবে।

২) আপনার ফোনটি যখন একটি আর্থিক পাওয়ার হাউজে পরিণত হয়েছে তখন এর সুরক্ষার দিকটিও আপনি মাথায় রাখতে হবে। আপনার ফোনকে সুরক্ষিত রাখতে আপনি অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার ও অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ্লিকেশনগুলি ইন্সটল করার পর আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপটি ব্যবহার করবেন।

৩) কিছু ই-ওয়ালেট এমন আছে যারা দ্বিগুণ প্রমাণীকরণের জন্য কোন রকম জিজ্ঞাসাবাদ করে না এবং শেষ অবধি আপনাকে কোনরকম নিশ্চিতকরণ না করেই তহবিল স্থানান্তর করতে অনুমতি দেয়। এই সকল ক্ষেত্রগুলি সম্পর্কে সতর্ক হোন। এর ফলে আপনার আর্থিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তাই নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আপনার ফোনে একটি স্ক্রীন লক ও তার পাশাপাশি একটি অ্যাপ লক ব্যবহার করুন।

৪) নিজে সুরক্ষা নিজে বজায় রাখবার জন্য যতবার ই-ওয়ালেট ব্যবহার করবেন ততবারই লগআউট করুন। লগ আউট না করে বেরোবেন না। আপনার তাড়াহুড়ো আপনার অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলতে পারে।

৫) আপনার মোবাইল ওয়ালেট স্টেটমেন্টটি সাবধানের সাথে সতর্ক হয়ে ব্যবহার করুন।

৬) অনলাইনে যখনই আর্থিক লেনদেন করবেন তখন কোন সর্বজনীন ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন না।

৭) কোন সহজ সরল পাসওয়ার্ড রাখবেন না, সংখ্যা অক্ষর দিয়ে এমন কোন পাসওয়ার্ড দিন যা বেশ কঠিন।

৮) আপনি যখন যে ই-ওয়ালেটটি ব্যবহার করবেন প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এমনটা যেন না হয় যে গুগোলপে ও ফোনপে ও পেটিএমের পাসওয়ার্ড এক। প্রতিটি ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড দিন।

৯) ইন্টারনেট থেকে কোনো অ্যাপ্লিকেশন চট করে ডাউনলোড করবেন না। কোন অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার আগে তার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানুন। যে ফোন বা কম্পিউটার থেকে আপনি আর্থিক লেনদেন করেন সেখানে ইন্টারনেট থেকে কোন অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড না করাই ভালো।