ব্যর্থতায় এনে দেয় সাফল্য, এই মেয়ের এখন বেতন ১ কোটির বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে’, এমন প্রবাদ আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শুনে আসছি। শুধু শুনে আসা নয়, একাধিক ক্ষেত্রে এর বাস্তবায়নও লক্ষ্য করা গিয়েছে। ঠিক যেমনটা এবার করে দেখিয়েছেন বিহারের সম্প্রীতি যাদব। বারংবার ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েননি এই মেয়ে। এককাট্টা ভাবে লড়াই চালিয়ে আজ নিয়ে এসেছেন জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা।

একসময় বারংবার ব্যর্থতার মুখ দেখা বিহারের এই সম্প্রীতি কঠোর পরিশ্রমের দৌলতে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে স্বপ্নের গুগলের চাকরি। সেই স্বপ্নের চাকরি হাতে আসার পর বর্তমানে তার বার্ষিক বেতন ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকার বেশি। গুগল কর্মী সম্প্রীতির এই লড়াই এখন দেশের কাছে নজির এবং তার লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন দেশের বাসিন্দারা।

প্রতিদিন সকাল বেলায় চাকরির খোঁজে বের হওয়া এবং ফাঁকা হাতে ফিরে আসা এমন উদাহরণ কম নেই। তবে এই ফাঁকা হাতে ফিরে আসাকে হেরে যাওয়া বলে না। সেটাই করে দেখিয়েছেন বিহারের ২৪ বছর বয়সী এই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সম্প্রীতি। তবে এত অল্প বয়সে এই বিপুল অর্থের চাকরি অর্জন করার ক্ষেত্রে তার লড়াইটা সহজ ছিল না।

গুগলে চাকরি পাওয়ার পর একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি জানিয়েছেন, “অনেক সময় ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে খুব নার্ভাস লাগত। তবে মন শক্ত রেখেছি৷ হাল ছাড়িনি৷ পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের পাশে পেয়েছি। সেই শক্তিতেই নার্ভাসনেস কাটিয়ে প্রতিটি ইন্টারভিউ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দিতে পেরেছি।” তার কথা অনুযায়ী, তিনি যতবার ইন্টারভিউ দিয়েছেন এবং ব্যর্থ হয়েছেন ততবারই তিনি নতুন কিছু না কিছু শিখেছেন। প্রতিটি ব্যর্থতা তাকে নতুন করে প্রেরণা জুগিয়েছে। এবার ব্যর্থ হয়ে পরেরবার কি করে সফলতা মিলবে সেই শিক্ষায় নিয়েছেন তিনি এক একটা ব্যর্থতা থেকে।

সম্প্রীতির বাবা একজন ব্যাঙ্ক কর্মী এবং তার মা সরকারি কর্মচারী। সম্প্রীতি জানিয়েছেন, একবার ব্যর্থ হওয়ার পর কিভাবে পরেরবার সফলতা আসবে তার জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আর এই কঠোর পরিশ্রমের ফলে বারবার ব্যর্থ তার পরেও গুগলে চাকরি পেতে সক্ষম হন দিল্লি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রী।

মোটা অংকের চাকরি পাওয়ার পর সম্প্রীতি জানিয়েছেন, “যে কোনও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের কাছেই গুগলে চাকরি পাওয়াটা স্বপ্নের মতো। কারণ, গুগলই বিশ্বের সেরা টেক-ফার্ম। গুগলের চাকরি নিয়ে লন্ডনের অফিসে কাজে যোগ দেওয়া, আমার কাছে দারুণ আনন্দের বিষয়। যা আমার আত্মবিশ্বাসকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।”