নিয়োগে দুর্নীতি, এবার প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি খোয়ালেন এক শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক মাস ধরেই এসএসসিতে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম রাজ্য। দুর্নীতির এই মামলা আদালতে গড়ানোর পর হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারির। এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে যখন সরগরম রাজ্য সেই সময় আবার প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়েও মামলা গড়ায় আদালতে এবং বিচারক নজিরবিহীন নির্দেশ দেন।

প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একসঙ্গে রাজ্যের ২৬৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি কেড়ে নেন। আদালতের নির্দেশে চাকরি হারানো এই সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন শাসকদল তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের ছেলে মেয়ে এবং ঘনিষ্ঠরা। ঠিক সেই রকমই এবার চাকরি খোয়ানোর তালিকায় নাম উঠল এক শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের।

আদালতের নির্দেশে যে ২৬৯ জন শিক্ষক শিক্ষিকা চাকরি হারিয়েছেন তাদের তালিকায় এবার যুক্ত হলেন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সঞ্চিতা প্রধানের। শুধু তাই নয় এই পূর্ব মেদিনীপুরে আদালতের নির্দেশে চাকরি হারানোর সংখ্যা ৩০। প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে এত সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষিকার নাম উঠে আসায় পূর্ব মেদিনীপুরে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

২০১৪ সালের প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে টেট নিয়ে দুর্নীতির মামলায় আদালত মোট ২৬৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে এবং তাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই ২৬৯ জনের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের যে ৩০ জনের নাম উঠে এসেছে তার মধ্যে সঞ্চিতা প্রধানের নাম রয়েছে ২০ নম্বরে। এমনই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে।

এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, ‘কলকাতা হাইকোর্ট ও স্টেট বোর্ডের নির্দেশে এই জেলার ৩০ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের দ্রুত বরখাস্ত করার পাশাপাশি বেতন বন্ধের নির্দেশ কার্যকর করা হচ্ছে।’ অন্যদিকে এমন তথ্য উঠে এলেও চাকরি হারানো শিক্ষিকা অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সঞ্চিতা প্রধানের দাবি, এই বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।