নিজস্ব প্রতিবেদন : গত শুক্রবার হঠাৎ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায়। বিতর্ক তৈরি হয় মূলত দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিকে নিয়ে। যে কর্মসূচিতে দিদির দূত হিসাবে রামপুরহাটের বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতে এসে মাড়গ্রামে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। সেখানে তিনি রীতিমত মেজাজ হারান। আর পরে যখন তেঁতুলিয়া গ্রামে নিজের দলের কর্মী সুজিত সরকারের বাড়িতে খেতে যান তখন বিতর্ক আরও বেশি দানা বাঁধে।
বিতর্ক তৈরি হয় মূলত না খেয়ে কেবলমাত্র ফটোসেশন করে উঠে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে। যদিও এই ঘটনায় সাংসদ শতাব্দী রায় এবং ওই তৃণমূল কর্মী সুজিত সরকার দুজনেই দাবি করেছেন, খেয়েছিলেন। তবে সে যাইহোক এই ঘটনাকে নিয়ে এতটাই বিতর্ক তৈরি হয় যে তা কোনভাবেই পিছু ছাড়ছে না শতাব্দী রায়কে। বিরোধীরা তো নাগাড়ে খোঁচা দিয়ে যাচ্ছেন সেলিব্রেটি এই সাংসদকে।
তবে এরই মধ্যে শনিবার দেখা গেল উল্টো ছবি। শুক্রবার কর্মসূচি শেষ করে কলকাতায় পৌঁছান শতাব্দী রায় আর সেখানে একটি ফুটপাথে সাধারণ মানুষদের সঙ্গে মিশে পাত পেড়ে খেলেন তিনি। পাত পেড়ে তার এই খাওয়াই সঙ্গ দেন দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। এইভাবে ফুটপাথে বসে তাদের খেতে দেখা যায় ডেকার্স লেনের ধারে।
ডেকার্স লেনের ধারে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে পাত পেড়ে শতাব্দী রায় খান বাসন্তী পোলাও, লেমন ফিশ। এর পাশাপাশি দুজনে মিলে চাও খান। খাওয়ার আগে এদিন হঠাৎ ওই ফুটপাথের দোকানে তৃণমূলের দুই তাবর নেতা-নেত্রীকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই স্তম্ভিত হয়ে যান দোকানের মালিক। যদিও তারা জানান, তারা খেতেই এসেছেন।
Lunch at a road side stall of Dacres Lane, Esplanade, with MP Satabdi Roy. pic.twitter.com/EKatTaFV3i
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) January 14, 2023
তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নানান প্রশ্ন উঠছে! শুক্রবারের মধ্যাহ্নভোজনের বিতরকের পরই কেন এইভাবে কলকাতার ফুটপাথে খাওয়ার জন্য যেতে হলো তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় এবং তৃণমূল মুখোপাধ্যায় কুনাল ঘোষকে? তাহলে কি শুক্রবারের বিতর্ক চাপা দিতে অথবা তার প্রত্যুত্তর দিতেই এমন পদক্ষেপ নিলেন শাসকদলের দুই নেতা নেত্রী!