বীরভূমের জাতীয় সড়কের বেহাল দশা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন শতাব্দী রায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদন : “বীরভূমে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থা ভীষণ ভীষণ ভীষণ খারাপ। বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, ঘুরপথে যেতে হচ্ছে সিউড়ি থেকে রামপুরহাট। বেড়েছে দুর্ঘটনা। রাস্তা খারাপের জন্য মানুষের মৃত্যু হলে তার দায় কে নেবে?” আজ এভাবেই লোকসভায় প্রশ্ন তুললেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়।

বীরভূমের একাংশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল দশা মাসের পর মাস। স্থানীয় বাসিন্দারা বারংবার অবরোধ, বিক্ষোভ সত্ত্বেও নরনচরণ নেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। এমনকি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে মুর্শিদাবাদ গেলেও সড়কের বেহাল অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন অছিলায় এড়িয়ে যান সেই প্রশ্ন। তবে জাতীয় সড়কের বেহাল দশার সেই প্রশ্নই আজ উঠলো লোকসভায়, তুললেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায়।

লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা মহাশয়কে শতাব্দি রায় জানান, “স্যার, আমি আজ আমার লোকসভা এলাকা বীরভূম নিয়ে কথা বলতে উঠেছি। আমাদের ওখানে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থা ভীষণ ভীষণ ভীষণ খারাপ। যেখানে কোন বাস পর্যন্ত যেতে পারছে না। সিউড়ি রামপুরহাট রুটের বাস ঘুরপথে কীর্নাহার, বোলপুর হয়ে ঘুরে যাচ্ছে। সুতরাং মানুষজনের যাওয়া-আসা ছাড়াও ভীষণভাবে দুর্ঘটনা বেড়েছে।”

এরপরেই তিনি প্রশ্ন করেন, “যেখানে মন্ত্রীরা প্রাণ বাঁচানোর জন্য হেলমেট পরতে বলছেন, বেল্ট লাগাতে বলছেন। অন্যদিকে যাত্রীদের থেকে পেনাল্টি নিচ্ছে, টাকা নিচ্ছে যাতে মানুষের মৃত্যু না হয়। তাহলে রাস্তার জন্য যদি মানুষের মৃত্যু হয়, তার দায় কে নেবে?”

জাতীয় সড়কের বেহাল দশা এবং যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন করার পর সাংসদ শতাব্দী রায় লোকসভার স্পিকারের কাছে দাবি রাখেন আমাদের বীরভূমের জাতীয় সড়কের খুব দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হোক।

এখানেই শেষ নয়, এরপর তিনি স্পিকারের কাছে দাবি রাখেন জাতীয় সড়কের উপর থাকা বিভিন্ন ব্রীজ সংস্কারের জন্য। তিনি বলেন, “মোড়গ্রাম থেকে দুবরাজপুরের জাতীয় সড়কের ওপর থাকা ব্রিজগুলি ১৯৬০ সালের পর থেকে কোন সংস্কার করা হয়নি। ব্রিজগুলির মধ্যে অন্যতম হলো তিলপাড়া, ব্রাহ্মণী ব্রিজ, চন্দ্রভাগা ব্রিজ ইত্যাদি। এগুলি যদি ঠিক করা না হয় তাহলে যেকোনো সময় বড় বিপদ ঘটতে পারে।”