মিস্টার ইন্ডিয়া থেকে রাম লক্ষ্মণ, এই ৫ চরিত্রের জন্য চিরস্মরণীয় সতীশ কৌশিক

প্রয়াত হলে বিখ্যাত অভিনেতা পরিচালক ও প্রযোজক সতীশ কৌশিক (Satish Kaushik)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন অভিনেতা। জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে অভিনেতার আচমকা বিদায় মেনে নিতে পারছেন না কাছের মানুষ এবং ভক্তরা। একের পর এক আইকনিক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন সতীশ।

অভিনেতা কিংবা কৌতুকশিল্পী হিসাবেই নয় পরিচালক এবং প্রযোজক হিসাবেও পরিচিত সতীশ কৌশিক। হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ে জন্ম অভিনেতার। হরিয়ানাতেই প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনা করেছেন তিনি। এরপর দিল্লির কিরোরি মাল কলেজ থেকে ১৯৭২ সালে স্নাতক হন। এরপর ভর্তি হন ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা এবং ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে। তারপর আসেন মুম্বাইয়ে।

জল যেমন যে পাত্রে ঢালবেন, তার আকার নিয়ে নেবে। ঠিক তেমনই ‘জলের মতো’ অভিনেতা ছিলেন সতীশ কৌশিক। তবে জল যেমন জীবন, তেমনই তাঁর অভিনয়ে ছিল সেই জীবনীশক্তি। মিস্টার ইন্ডিয়া ছবিতে অনিল কাপুরের সঙ্গে ক্যালেন্ডারের চরিত্র চিরস্মরণীয়।

বলিউডের কাল্ট সিনেমা হিসেবে পরিচিত ‘জানে ভি দো ইয়ারোঁ’। এই ছবিতে সতীশ কৌশিক শুধু অভিনয়ই করেননি, বিধু বিনোদ চোপড়া, সুধীর মিশ্রর সঙ্গে ছবির জন্য সংলাপও লিখেছিলেন তিনি। ‘দিওয়ানা মাস্তানা’ ছবির ‘পাপ্পু পেজার’কে দর্শকরা ভুলবেন কী করে! অনিল কাপুর ও গোবিন্দা অভিনীত এই ছবিতে পাপ্পু পেজারকে বাদ দিয়ে সিনেমাটি কল্পনাও করা যায় না।

‘রাম লক্ষ্মণ’ ছবিতে ‘কাশীরাম’ চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন সতীশ কৌশিক। ছবিতে অভিনেতার কমিক রিলিফ মাতিয়ে রেখেছিল দর্শকদের। অক্ষয় কুমারের সঙ্গে এই ছবিতে দেখা গিয়েছিল সতীশ কৌশিককে। ছবিতে ‘চান্দা মামা’র চরিত্রে কৌশিকের অভিনয় শক্তি জুগিয়েছিল অক্ষয়কে।

উল্লেখ্য, ১৯৫৬ সালের ১৩ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেছিলেন সতীশ কৌশিক। অভিনেতা হিসেবে ইন্ডাস্টিতে পা রাখলেও বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন পরিচালক হিসেবেই। তার পরিচালিত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘হাম আপকে দিলমে রেহতি হ্যায়’, ‘মুঝে কুচ কেহনা হ্যায়’, ‘তেরে নাম’, ‘কাগজ’ উল্লেখযোগ্য।