শীতকালে নিউমোনিয়া থেকে সুরক্ষিত রাখুন শিশুদের, জানুন খুঁটিনাটি

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিউমোনিয়া সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে হয়। ফুসফুসে সংক্রমণজনিত এই রোগ কখনো কখনো আবার ফুসফুসে ছত্রাক সংক্রমণের ফলেও হয়ে থাকে। নিউমোনিয়া রোগের অন্যতম মূল কারণ হলো ফুসফুসে ‘স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি’ নামের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ।

এই রোগ নিরাময় যোগ্য এবং প্রতিরোধযোগ্য। তা সত্ত্বেও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ শিশুর মৃত্যু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে, এক বছরে যতসংখ্যক শিশুর মৃত্যু হয় তার ১৫ শতাংশ শিশুর নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বিশেষ করে যাদের বয়স ৫ বছর বা তার কম। ২০১৭ সালে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ৬৯৪ জন শিশুর।

চিকিৎসকদের দাবি, বাতাসে দিনের পর দিন বাড়তে থাকা দূষণের ফলে ছোট ছোট শিশুদের এই রোগের সংক্রমণ হয়। হু’য়ের সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারত, পাকিস্তান, কঙ্গো, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়ার মতো দেশে শিশুদের নিউমোনিয়া সংক্রমনের মাত্রা সবথেকে বেশি। গতবছর বিশ্বজুড়ে ৮ লক্ষের বেশি শিশুর মৃত্যু হয় এই রোগের সংক্রমণে, যাদের বেশিরভাগ শিশুই বছরের কম।

নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ

নিউমোনিয়া রোগ বোঝা যায় জ্বর আর অনর্গল কাশি দেখে। পাশাপাশি থাকে শ্বাসকষ্ট।

এই রোগের ফলে বুকে ব্যথা হতে পারে। তবে সেই ব্যথার লক্ষণ আলাদা। দীর্ঘ শ্বাস নেওয়ার সময় ব্যথা অনুভূত হয়।

এছাড়াও মাথায় যন্ত্রণা, শরীর দুর্বল হয়ে পরা, খাবারে অনীহা, সারাক্ষণ বমি বমি ভাব ইত্যাদি নানান উপসর্গ দেখা দেয়।

কিভাবে সর্তকতা অবলম্বন করবেন

শীতকালে অপেক্ষাকৃত কম তাপমাত্রা নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠার পক্ষে অনুকূল। যার ফলে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বিশেষ করে ছোট ছোট শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রকট হয়ে ওঠে। তাই আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে নিউমোনিয়া সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বিশেষত শীতকালে বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করা দরকার।