‘অন্ধবিশ্বাসের ফল’, কে ফাঁসালো অনুব্রতর কোটিপতি রাঁধুনিকে! জানা গেল!

নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখন দিল্লিতে ইডি হেফাজতে। অনুব্রত মন্ডলের পাশাপাশি এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তার হিসাবরক্ষক মনিশ কোঠারি (Manish Kothari)। আবার তলব করা হয় অনুব্রতর রাঁধুনি তথা পরিচালক বিজয় রজককে (Bijay Rajak)। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিজয় রজকের অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। আর সেই লেনদেনের টাকার সঙ্গে গরু পাচার কান্ডের বেআইনি টাকার যোগ থাকতে পারে।

সত্যিই অনুব্রতর রাঁধুনি বিজয় রজককে কোটিপতি বলা যেতেই পারে। কারণ বিজয় রজকের বাবা মদন লাল রজকের কথায় তা স্পষ্ট। কিন্তু তাদের তরফ থেকে এটাও দাবি করা হচ্ছে, সেই টাকা বিজয় ভোগ করেন নি। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। বিজয় রজকের বাবা, মা এবং প্রতিবেশীদের দাবি, বিজয় রজক সত্যিই যদি কোটিপতি হয়ে থাকতেন তাহলে তার বাড়ির এইরকম খারাপ পরিস্থিতি হতো না।

বিজয় রজকের দোতলা বাড়ি হলেও সেই বাড়ির নিচের তলার অবস্থা খারাপ। পলেস্তারা ছেড়ে পড়ছে। প্রতিবেশীদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, দেখে কোনদিন মনে হয় না বিজয় রজক কোটিপতি। কারণ তার যদি কোটি টাকা থাকতো তাহলে তার মধ্যে কিছুটা হলেও অহংকার থাকতো। পাশাপাশি তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, কোটিপতি হলে তারা এইভাবে কেন কাপড় কেচে, লন্ড্রির কাজ করে সংসার চালাবেন!

তাহলে বিজয় রজককে ফাঁসালো কে? বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে তদন্ত সাপেক্ষ। তবে বিজয় রজকের বাবা জানিয়েছেন, “আমার ছেলে পার্টি অফিসে যাতায়াত করতো। তৃণমূলের নেতারা কখনো আধার কার্ড বা কখনো অন্য কাগজপত্র চাইত। কিন্তু এইরকম কাজ করবে কেউ বুঝতে পারেনি। বিজয় কাজ হারানোর ভয়ে সেই সকল কাগজপত্র দিয়ে দিত। কতগুলো চেকে সই-ও করানো হয়েছিল।”

পাশাপাশি বিজয় রজকের বাবা দাবি করেছেন, “বিজয়ের নামে একটিমাত্র অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বাকি কোন অ্যাকাউন্টের কথা তারা জানতেন না। পরে সিবিআই যখন কলকাতায় ডেকে পাঠায় তখন তারা অন্য সব অ্যাকাউন্টের কথা জানতে পারেন। এমনকি কোন অ্যাকাউন্টের এটিএম কার্ড বা কিছু ছিল না বিজয়ের কাছে। এরকম ঘটনা ঘটবে তা জানা ছিল না কারো আর সব কিছু বিশ্বাস করে দেওয়া হয়েছিল। পার্টি অফিসে যে সকল নেতারা যাতায়াত করতেন তারাই এইসব কান্ড ঘটিয়েছেন। অন্ধবিশ্বাস থেকেই এমনটা হয়ে গেল।”