ট্রেনের টিকিটে থাকে একটি ৫ ডিজিটের নম্বর, লুকিয়ে আছে অবাক করা তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় নাগরিকদের কাছে রেল পরিষেবা হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা। প্রতিদিন দেশের কোটি কোটি মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় এই রেল পরিষেবার ওপর নির্ভর করে যাতায়াত করে থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিষেবার গুরুত্ব অপরিসীম।

যাত্রীরা প্রতিদিন ট্রেনে চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকলেও ট্রেনের বিভিন্ন নিয়মকানুন সম্পর্কে জানেন না। আবার অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন সাইনবোর্ড অথবা টিকিটে থাকা সাংকেতিক চিহ্ন সম্পর্কে জানা সম্ভব হয় না। সেইরকমই রেলের টিকিটের গায়ে থাকে পাঁচ ডিজিটের একটি নম্বর। যে নম্বরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এর মধ্যে লুকিয়ে আছে অবাক করা তথ্য।

ট্রেনের টিকিটে এই যে ৫ ডিজিটের নম্বর রয়েছে তা ০ থেকে ৯ পর্যন্ত নম্বর দিয়ে বানানো হয়ে থাকে। এখানে থাকা প্রতিটি সংখ্যার রয়েছে আলাদা অর্থ। আসলে এই ৫ ডিজিটের নম্বরের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে আপনি যে ট্রেনে সফর করছেন সেই ট্রেনটি কি ধরনের ট্রেন। যেমন কোন টিকিটে যদি ওই পাঁচ ডিজিটের নম্বর ০ দিয়ে শুরু হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেটি স্পেশাল ট্রেন। অর্থাৎ এই ট্রেনটি নির্দিষ্ট কোন মরসুমের জন্য চলছে।

আবার একইভাবে যদি কোন টিকিটের এই সংখ্যাটি শুরু হয় ১ অথবা ২ দিয়ে তাহলে বুঝতে হবে এই ট্রেনটি দূরপাল্লার ট্রেন। রাজধানী, শতাব্দী, জন সদর, যোগাযোগ ক্রান্তি, গরীব রথ অথবা দুরন্ত এক্সপ্রেস বা হামসফরের মত ট্রেনের টিকিটের ক্ষেত্রে এই ধরনের নম্বর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৩ লেখা থাকলে তা হবে কলকাতার সাবার্বান ট্রেন এবং ৪ লেখা থাকলে তা নয়াদিল্লি, চেন্নাই, সেকেন্দ্রাবাদ এবং অন্যান্য মেট্রো শহরের সাবার্বান ট্রেন বোঝানো হয়ে থাকে। ৫ তাহলে সেটি যাত্রীবাহী ট্রেন। ৬ হলে MEMU ট্রেন, ৭ হলে সেটি হয়ে যায় DEMU। এরপর ৮ এর অর্থ হলো সেই পুরো ট্রেনটিই সংরক্ষিত এবং ৯ লেখা থাকলে মুম্বাইয়ের একটি সাবার্বান ট্রেন বোঝায়। এর পাশাপাশি দ্বিতীয় এবং পরবর্তী সংখ্যাগুলির ক্ষেত্রেও নানান অর্থ রয়েছে।