এবার পুরুষদের নামেও হবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, তবে রয়েছে শর্ত

নিজস্ব প্রতিবেদন : খাদ্য, বস্ত্র এবং বাসস্থান, নাগরিকদের এই তিনটি ন্যূনতম চাহিদার পাশাপাশি রয়েছে আরও একটি চাহিদা তা হলো স্বাস্থ্য। স্বাস্থ্যের দিকে তাকিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের তরফ থেকে বিভিন্ন সময় নানান প্রকল্প আনা হয়। যেমন কেন্দ্রের রয়েছে আয়ুষ্মান ভারত ঠিক সেই রকমই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। এবার এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প শুরু করা হয় ২০১৬ সালে। তবে সেই সময় এই প্রকল্প সার্বজনীন ছিল না। রাজ্য সরকারের আওতাধীন সীমিত কিছু সংখ্যক মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে পারতেন। পরে ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর এই প্রকল্প সার্বজনীন করার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০২০ সাল থেকে এই প্রকল্প সার্বজনীন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যারা এই প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভূক্ত করেছেন তারা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন চিকিৎসার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমা পেয়ে থাকেন। তবে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই প্রকল্প হয়ে থাকে পরিবারের মহিলার নামে। সম্প্রতি এই প্রকল্পে বদল এনে তা পুরুষদের নামেও করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। যদিও পুরুষদের নামে এই প্রকল্প চালু করার পরিপ্রেক্ষিতে শর্ত রাখা হয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এখন পরিবারের একাকী পুরুষরাও এই প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। অর্থাৎ যে পরিবারে কোন মহিলা নেই সেই পরিবারের পুরুষ এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করে স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা নিতে পারবেন।

সরকারের এই শর্ত মেনে একাকী পুরুষ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করার জন্য তাদের স্থানীয় কাউন্সিলর বা বিধায়কের কাছ থেকে একাকী, পরিবারহীন থাকার ‌‘বৈধতাপত্র’ সংগ্রহ করতে হবে এবং সেই বৈধতাপত্র আবেদন পত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে আবেদনকারীকে। ফর্ম পাওয়ার পর আধিকারিকরা সরে জমিনে সেই আবেদনপত্র খতিয়ে দেখবেন এবং যদি ওই ব্যক্তি যোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে তাকে এই বিমার আওতায় নথিভূক্ত করা হবে।