৬০০০ কিউসেক জল ছাড়লো তিলপাড়া, ঢুবলো ময়ূরাক্ষীর উপর অস্থায়ী রাস্তা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন ছয়েকের টানা বৃষ্টির ফলে জল ধারণের ক্ষমতার তুলনায় বেড়েছে তিলপাড়া মিহিরলাল ব্যারেজে জলের পরিমাণ। জল বাড়ায় ইরিগেশন দপ্তর জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম দফায় ৪৩০০ কিউসেক এবং পরে আরও মিলিয়ে মোট ৬০০০ কিউসেক জল ছাড়ে।

আর এই বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে ময়ুরাক্ষী নদীর উপর থাকা মহঃবাজারের আঙ্গারগড়িয়া পঞ্চায়েত ও সাঁইথিয়া ফেরিঘাট ভেঙ্গে গেল। যার ফলে সমস্যায় আঙ্গারগড়িয়া পঞ্চায়েতের প্রায় ১৭ টি গ্রামের বাসিন্দারা। অপরদিকে সমস্যার মুখে সাঁইথিয়া স্থানীয়বাসিন্দারাও।

বড়াম থেকে আঙ্গারগড়িয়ার যোগাযোগের মাধ্যম একমাত্র এই নদীপথ। আর শনিবার রাতে ও রবিবার তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে ময়ূরাক্ষী নদীতে জল ছাড়ায় বন্ধ হয়ে যায় এই রাস্তা। ফলে এই সমস্ত গ্রামবাসীদের বর্তমানে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা একটি ছোট নৌকা। এই নৌকা দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকার মানুষদের।

ময়ূরাক্ষী নদী এই এলাকায় দুভাগে ভাগ হয়ে পুনরায় আবার সাঁইথিয়ায় একসাথে মিশেছে। দুই নদীর মধ্যবর্তী এই এলাকায় রয়েছে বড়াম, নরসিংহপুর, কাটুনিয়া, জুনুদপুর, বেহীরা, ভেজেনা, পাঁচপুকুর সহ ১৭ টি গ্রাম। এই গ্রামগুলির প্রধান বাজার ও স্কুল বলতে আঙ্গারগড়িয়া। আর নদীতে জল ছেড়ে দেওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়েছে এই পথ। ফলে পুজোর আগে বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে এই সমস্ত গ্রামের গ্রামবাসীদের।

স্থানীয়দের দাবি দীর্ঘবছর ধরে পঞ্চায়েত, ব্লক, এমনকি বিধায়ক, সাংসদকেও জানানো হয়েছে, কিন্তু কোনো সুরাহা মেলেনি। বাধ্য হয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয় এইভাবে।

অন্যদিকে সাঁইথিয়া ফেরিঘাট ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে সাঁইথিয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের এবং বোলপুর, রামপুরহাট, বহরমপুর যোগাযোগের ক্ষেত্রে সাত কিলোমিটার ঘুরপথকে ব্যবহার করতে হচ্ছে।