‘ভবঘুরে’ মায়ের ‘রাজনন্দিনী’ মেয়ে! ছিঃ ছিঃ করছে নেট দুনিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদন : রানু মন্ডল রানাঘাটে এবং রানাঘাট রেল স্টেশনে প্রথম থেকেই ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। তবে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা অথবা তাকে যারা চিনতেন তারা সচরাচর জানতেন না রানু মন্ডলের সন্তানও রয়েছে, তারা জানতেন তিনি একা। কিন্তু এলাকার বাসিন্দাদের সেই ভুল ধারণা ভেঙ্গে যায় যখন রানাঘাট রেলস্টেশনের ভবঘুরে গায়িকা রানু মন্ডল রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে পরিণত হলেন রানুদিতে। কারণ তারপরেই সুদূর সিউড়ি থেকে তার মেয়ে সোমা রায় ওরফে সাথী রায় ছুটে আসেন তার সাথে দেখা করতে।

এরপরেই জানা যায়, রানু মন্ডলের মেয়ে সাথী রায় নাকি ৮ থেকে ১০ বছর রানুদিকে দেখতে আসেননি। যদিও একটি ভিডিও রানু মন্ডল জানান, মেয়ে তাকে দেখতে না এলেও মাসে মাসে ৫০০ টাকা করে দিতেন সংসার চালানোর জন্য। কিন্তু সেই ৫০০ টাকায় সংসার চালানো সম্ভব নয় সেকথাও জানিয়েছেন রানু মন্ডল। তাই তিনি স্টেশনে বসে গান গাওয়ার পথ বেছে নেন। সেই ভিডিওতে সাথী রায়ও স্বীকার করেন, বিগত এই সময়ে তিনি আগে মাকে দেখতে আসেননি কিন্তু মাসে মাসে সাধ্যমত ৫০০ টাকা করে পাঠাতেন। সাথী রায় আরও জানান, বিবাহ বিচ্ছেদের পরে অনেক কষ্টে তার জীবন অতিবাহিত হয়েছে তাই মায়ের সাথে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সাথী সম্পর্কিত সমালোচনা নিতান্ত গ্রাহকদের ব্যক্তিগত

কিন্তু এসব এসব কথায় চিড়ে ভেজেনি সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনদের। সাথী রায়কে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজনেরা ছিঃছিঃ করছে। এই ছিঃছিঃ করার পিছনে রয়েছে অবশ্য সেই সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ সাথীর ব্যক্তিগত প্রোফাইলে তার কিছু আপলোড করার ছবিতে সকলেই দেখতে পেয়েছেন রংবেরংয়ের পোশাক পরে কখনও পাহাড়ের ধারে, কখনো আবার ছেলেদের সাথে রেস্তোরাঁয় মেতেছেন খাওয়া-দাওয়ায়, কখনো ফেসবুকে লাইভে এসে বলছেন নানান কথা, কখনো চোখে সানগ্লাস পড়ে শুকছেন ফুলের গন্ধ, আর এসব দেখে তার কষ্টের জীবন কাটানোর কথা মানতেই চাইছেন না সামাজিক মাধ্যমের নেটিজনেরা। আর তাতেই রানুদির ভক্তদের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে রানু দির মেয়ে সাথীর উপর, কোপে পড়েছেন তিনি।