এই বিরিয়ানি খেলে হয় শরীর খারাপ! পুজোয় খাওয়ার আগে ১০ বার ভাবুন

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বছর কয়েক আগেও ঠাকুর দেখতে বেরোনো অথবা অন্য কোন কাজে বেরিয়ে কিছু খাওয়ার মন হলেই সবাই এগরোল অথবা মোগলাই ইত্যাদি খেতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিবর্তন এসেছে আর এগরোল, মোগলাইয়ের জায়গা নিয়েছে বিরিয়ানি। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে ভুরি ভুরি বিরিয়ানির (Biriyani) দোকানও। শুধু দোকান গজিয়ে ওঠা নয়, পাশাপাশি ওই সকল দোকানের লাল কাপড়ে ঢাকা হাঁড়ি থেকে ভুর ভুর করে বেরিয়ে আসা বিরিয়ানির গন্ধ এড়িয়ে অন্য কোথাও যাওয়ার জো-ও নেই।

Advertisements

পাড়ার মোড়ে মোড়ে গজিয়ে ওঠা এই সকল লাল কাপড়ের ঢাকা হাঁড়িওয়ালার দোকানগুলিতে কেউ চিকেন বিরিয়ানি, কেউ মটন বিরিয়ানিতে মজেন। এতে রসনা এবং ক্ষুধা দুইয়েরই তৃপ্তি আসে। তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন, কোন বিরিয়ানি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে একেবারেই ক্ষতিকর? ভেবে দেখতে হবে না, বিরিয়ানির দামের ফারাকই বলে দেবে আপনার কোনটি খাওয়া উচিত আর কোনটি খেলে শরীর খারাপ হবে।

Advertisements

এমনিতে যেকোনো ঠিকঠাক রেস্তোরাঁয় গেলে যদি এক প্লেট বিরিয়ানি কেনেন তাহলে সেক্ষেত্রে খরচ করতে হয় ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। কিন্তু আবার রাস্তার ধারে যে সকল ফুড স্টলগুলি রয়েছে সেগুলিতে চিকেন, মটন বিরিয়ানি পাওয়া যায় ১০০ টাকার মধ্যেই। সন্দেহ এখানেই তৈরি হয়! কেউ কি নিজের লাভ না রেখে দোকান চালাবে? তাহলে ঠিক কি হয়? কোন যাদুকাঠিতে এক প্লেট বিরিয়ানির দাম এত কমে যায়?

Advertisements

১০০ টাকার মধ্যে যে সকল বিরিয়ানি পাওয়া যায় সেই সকল বিরিয়ানির মাংসের গুণগত মান নিয়ে এতদিন নানান প্রশ্ন তো ছিলই। কিন্তু এবার আরও এক ক্ষেত্রে হাতেনাতে প্রমাণ মিলল। আর সেটি হল রং অর্থাৎ ফুড কালারে। কমদামি বিরিয়ানিকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য কিছু রং মেশানো হচ্ছে, যা আপনি জীবনেও কোনদিন ভাবতে পারবেন না। এমনটাই ধরা পড়েছে সম্প্রতি স্বাস্থ্য দপ্তরের অভিযানে।

দিন কয়েক আগে দীঘায় স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা খাবারের গুণগত মান যাচাই করার জন্য অভিযান চালান। সেই অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতেই সামনে আসে রাস্তার ধারে সস্তায় বিক্রি হওয়া বিরিয়ানিতে মেশানো হচ্ছে কাঠ পালিশের রং। বিরিয়ানির পাশাপাশি কাঠ পালিশের রং মেশানো হচ্ছে চিকেন তন্দুরি মতো খাবারেও। এমনিতে যে সকল ফুড কালার পাওয়া যায় সেসবের দাম পড়ে প্যাকেট প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কিন্তু কাঠ পালিশ করার জন্য যে রং প্রয়োজন হয় তার দাম পড়ে ১০-১৫ টাকা। এতে স্পষ্টভাবেই লেখা থাকে, এই রং ব্যবহার করা যেতে পারে কেবলমাত্র শিল্প কার্যের জন্য।

খাবারে কৃত্রিমভাবে লাল ও হলুদ রং আনার জন্য এরিথ্রোসিন ও টারট্রাজিন ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু এসবের দাম বেশি হওয়ার কারণে এখন কিছু অসৎ ব্যবসায়ী খাবারে কৃত্রিম উপায়ে রঙ আনার জন্য মেশাচ্ছেন বিটা ক্যারোটিন, মেটানিল ইয়েলো, রোডামিন বি, লেড ক্রোমেট। এই সকল উপাদান মানুষের শরীরে গেলে শরীর খারাপ তো দূরের কথা ক্যান্সারের মতো রোগও হতে পারে।

Advertisements