‘সবার উপর মনুষ্যত্ব’কে সামনে রেখে পথ চলা শুরু ‘সমব্যথী’র

লাল্টু : জি বাংলার দাদাগিরির একটি এপিসোড দেখি তরতাজা কয়েকজন যুবকের মাথায় আসে এমন পরিকল্পনা। কিন্তু শুধু পরিকল্পনা নিলেই তো আর হয় না, পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য চায় উপযুক্ত পরিকাঠামো, চায় দশ হাত এক হওয়ার। তবে এত সব চিন্তাভাবনায় না জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়াকে নিজেদের মাধ্যম হিসাবে কাজে লাগিয়ে পথ চলা শুরু কয়েকজন যুবকের মাধ্যমে ‘সমব্যথী’র। ‘সমব্যথী’র শুরু ১৫ ই আগস্ট থেকে, আর তারপর মাসখানেকের মধ্যেই একগুচ্ছ দুঃস্থ দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম হলেন তারা।

এই সমব্যথী কোনরকম সংস্থা বা সংগঠন নয়, কেবলমাত্র কয়েকজন যুবকের একত্রিত সমষ্টি। যারা নিজেদের হাত খরচ বাঁচিয়ে উদ্বোধনের দিন কয়েকের মধ্যেই কখনো গ্রামে গ্রামে পৌঁছে পৌঁছে দিয়েছেন নিজেদের সাধ্যমত সামগ্রী, আর আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবসের দিন তারা এলাকার কয়েকশো মানুষের হাতে তুলে দিলেন সযত্নে রাখা পুরাতন জামা কাপড়।

আর এইসব তরতাজা যুবকের কাণ্ডকারখানা দেখেতো হতবাক এলাকার সাধারণ মানুষেরা। তারা যেমন এই সকল যুবকদের কাজের প্রশংসা করেছেন, তেমনি পাশাপাশি পাশেও দাঁড়িয়েছেন তাদের। এমনকি তাদের এই কাজে সহযোগিতার জন্য সহৃদয় এক ব্যক্তি অসীম মহাশয় একটি দোকান ঘর দিয়েছেন অস্থায়ীভাবে কাজ চালানোর জন্য।

‘সমব্যথী’র এই কাউন্টার আপনার চোখে পড়বে দুবরাজপুর শহরে দুবরাজপুর বক্রেশ্বর রাস্তায় সূচনা মার্কেটে।

দুঃস্থ দরিদ্র মানুষদের পাশে এগিয়ে আসা এই যুব গোষ্ঠী রঙ্গন মন্ডল জানান, “আমরা দেখেছি আমাদের বাড়িতে অনেক ভালো ভালো জামা কাপড় আলমারিতে ভরা থাকে। হাতে নতুন জামাকাপড় পেয়ে সেগুলিকে আমরা আর ব্যবহার করিনা। অথচ এই গুলিই কারোর পরনের বস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। আমরা কেবল রিসাইকেলিং-এর পন্থাকে বেছে নিয়েছি, যেটা ভালো অস্বচ্ছ আলমারি বন্ধ হয়ে রয়েছে সেগুলিকে অন্যের হাতে তুলে দাও। আর এই কাজে আমরা সাধারণ মানুষের বিপুল সহযোগিতা পেয়েছি, যার জন্যই এই কাজটি করতে সমর্থ হয়েছি এবং আগামীদিনেও করে যাবো।”

সমব্যথীর এই অনুষ্ঠানে আজ উপস্থিত হয়েছিলেন পাঁচরা গীতা ভবনের স্বামী সত্যানন্দ মহারাজ এবং দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম সত্যশিবানন্দ মহারাজ। তারা দুজনই এই যুব সম্প্রদায়ের অন্যদের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা দেখে আপ্লুত। আর যারা এসব পেলেন তারাও খুশি ভরে নিয়ে গেলেন নিজেদের ঝোলায়।