তৃণমূলের ফিরতে খোলা চিঠি সোনালী গুহর

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ১০ বছরের বিধায়ক সোনালী গুহ টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দল ত্যাগ করার ঘোষণা করেছিলেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এই নেত্রী শেষমেষ নাম লেখান গেরুয়া শিবিরে। তবে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েও সেখানে টিকিট জোগাড় করতে পারেননি। পরবর্তীতে তাকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসাবে রাজ্য কমিটির সদস্য করে বিজেপি।

কিন্তু ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর যখন দেখা যায় রাজ্যে জয়ের জন্য বিপুল প্রত্যাশিত গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবি হয়েছে ঠিক সেই সময়ই দলত্যাগী বহু নেতা-নেত্রীকেই নীরবতা পালন করতে দেখা যায়। ঠিক একই ভাবে নীরবতা পালন করতে দেখা যায় এই সোনালী গুহকে। অবশেষে শনিবার তিনি তার সেই নীরবতা ভাঙলেন। আর নীরবতা ভেঙে তৃণমূলে ফেরার আর্জি জানিয়ে খোলা চিঠিও লিখে ফেললেন।

সাতগাছিয়ার প্রাক্তণ এই বিধায়ক নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে খোলা চিঠিতে লিখেছেন, “সম্মানীয়া দিদি, আমার প্রণাম নেবেন। আমি সোনালি গুহ, অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। যেটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনই আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।”

আর এই লেখার সাথে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা ব্যানার্জিকে ট্যাগ করে তিনি আরো লিখেছেন, “দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে, বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদান্তে, আপনার স্নেহের সোনালি গুহ।” আর এতেই তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি আর পদ্ম শিবিরে না থেকে তৃণমূলে ফিরতে চান।

[aaroporuntag]
তবে সোনালী গুহর এই চিঠি নিয়ে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া না মিললেও মমতা ব্যানার্জি আগেই বলে রেখেছিলেন, কেউ ফিরতে চাইলে, ফিরতে পারে। অর্থাৎ প্রাক্তন এই বিধায়কের তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। যে যেখানে গিয়ে শান্তি পাবেন, তিনি সেখানে যেতে পারেন।”