২০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগ, কত টাকার মালিক সোনু সুদ

নিজস্ব প্রতিবেদন : গরিবের মসিহা সোনু সুদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। করোনা আর লকডাউন চলাকালীন এই অভিনেতা যেভাবে সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হয়েছিলেন সেই জায়গায় তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অবাক করেছে নেটিজেনদের।

যিনি দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দিয়েছেন, অন্ন জুগিয়েছেন, তিনিই কিনা দেশের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন! এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা তার বাড়ি, অফিস সমস্ত জায়গায় হানা দেয়। অভিনেতার মোট ২৮টি ঠিকানায় হানা দেয় আয়কর আধিকারিকরা। এইসব ঠিকানাগুলির মধ্যে রয়েছে মুম্বই, লখনউ, কানপুর, জয়পুর, দিল্লি এবং গুরুগ্রাম।

আর এসবের পরেই প্রশ্ন উঠছে গরিবের মসিহা সোনু সুদ ঠিক কত টাকার মালিক। সোনু সুদের মোট সম্পদের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা হবে তা আন্দাজ করা যায়। কারণ তিনি প্রতিষ্ঠা অভিনেতা ছাড়াও একাধিক ক্ষেত্রে তার বিনিয়োগ রয়েছে এবং তিনি সমাজসেবী। আয়কর দপ্তর সূত্রে তার সম্পদের পরিমাণ সম্পর্কে জানা গিয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।

বর্তমানে এই অভিনেতার বার্ষিক আয় আনুমানিক ১২ কোটি টাকা। তিনি বলিউডে যে সকল ছবিতে অভিনয় করে থাকেন সেই সকল অভিনয়ের জন্য নিয়ে থাকেন দু’কোটি টাকা করে। এর পাশাপাশি তিনি বলিউড ছাড়াও অভিনয় করে থাকেন তামিল, তেলেগু, কন্নড় এবং পাঞ্জাবি ছবিতে। অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন থেকেও তার বিপুল আয় রয়েছে।

অভিনয় করার পাশাপাশি এই অভিনেতার একটি প্রোডাকশন হাউসও রয়েছে। শক্তি সাগর নামের সেই প্রোডাকশন হাউজ তিনি ২০১৬ সালে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে গড়ে তুলেছিলেন। সোনু সুদ তার পরিবার পরিজনদের নিয়ে মুম্বইয়ের আন্ধেরি তে ২৬০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। যেখানে চারটি বিশালাকৃতির বেড রুম সহ রয়েছে একটি বিশাল আকৃতির হলঘর।

মুম্বাইয়ের আন্ধেরির এই ফ্ল্যাটের মূল্য ২০ কোটি টাকা। এছাড়াও তার রয়েছে পাঞ্জাবের মোগায় সোনুর পুরনো একটি বাংলো। ওই বাংলোটি বর্তমানে নতুন করে সাজিয়েছেন তিনি। এছাড়াও তার রয়েছে একাধিক নামি দামি গাড়ি সম্ভার। তবে এত সম্পত্তির মালিক হয়েও এই অভিনেতা একেবারে সাধারণ জীবনযাপন করে থাকেন।

সোনু সুদ শতাধিক কোটি টাকার মালিক হলেও রিল লাইফের এই ভিলেনই রিয়েল লাইফে আসল হিরোর তকমা পান লকডাউন চলাকালীন। সেই সময় তিনি পরিযায়ী শ্রমিক থেকে করোনা আক্রান্ত মানুষদের অক্সিজেন, খাবার, জল, ওষুধপত্র, অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সাধারণ মানুষদের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। আর এই মানুষটির সম্প্রতি এমন অভিযোগের পরও ঘোষণা করেছেন আবার তিনি সমাজসেবায় ফিরে আসছেন।