মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর-এর দাবি তুললেন সৌমিত্র খাঁ

নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তর দিনাজপুরের বিন্দোল গ্রামের বাসিন্দা হেমতাবাদে বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের রহস্যমৃত্যুতে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রহস্য মৃত্যুর এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফ থেকে খু’নের অভিযোগ তোলা হয়েছে। আর এই রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সোমবার বীরভূমের নলহাটি থেকে রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিরোধীদলের বিধায়কদের হ’ত্যা করছে শাসক দল বলে অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিধায়করা সুরক্ষিত না থাকলে সাধারণ মানুষ কিভাবে সুরক্ষিত থাকবে! মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়া দরকার।

নলহাটিতে একটি রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করতে এসে সৌমিত্র খাঁ রাজ্য সরকারকে দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় আক্রমণ করে বলেন, “এটা আমার মনে হয় পরিকল্পিত মা’র্ডার। এর আগেও দেখেছেন এখানে বিধায়ক খু’ন হয়েছে। যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিরোধী দলের বিধায়ক হলে পুলিশি নিরাপত্তা তুলে নেয়, সেই পশ্চিমবঙ্গের সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আমি মনে করি এফআইআর হওয়া উচিত। নিয়ম বলছে একজন বিধায়কের দুজন করে নিরাপত্তারক্ষী থাকা দরকার। মমতা ব্যানার্জি কেন নিরাপত্তারক্ষী তুলে দিচ্ছেন? কারণ তিনি নরখাদকে পরিণত হয়েছেন। এখানে সাংসদদেরও নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হচ্ছে না। উদ্দেশ্য একটাই বাংলার সমস্ত বিরোধীদলের নেতাদের তৃণমূলের গুন্ডাদের দ্বারা শেষ করে দেওয়া হোক।”

এর পরেই তিনি বলেন, “এখন আমাদের খুব দুঃখ লাগে, যেখানে রাজ্যের একজন বিধায়ক সুরক্ষিত নয় সেখানে সাধারণ মানুষ কিভাবে সুরক্ষিত থাকবে!”

অন্যদিকে এদিন সৌমিত্র খাঁ রাজ্যের বনদপ্তর মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বলেন, “মনুষত্ব যখন জেগে ওঠে, বিবেক যখন জেগে ওঠে তখন কথাগুলি এমনিই বেরোয়। বর্তমানে রাজিব দার হয়তো বিবেক জেগে উঠেছে তাই তিনি এই কথাগুলি বলছেন। দেখবেন পূর্ব মেদিনীপুরের কারোর হয়তো বিবেক জেগে উঠবে এবং তিনিও কথাগুলি বলবেন।”

একুশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সৌমিত্র খাঁ এদিন বলেন, “একুশে তৃণমূল ২০০১, ২০০৬-এ যেমন ছিল ঠিক তেমনই হবে। আমার মনে হয় তৃণমূল ৫০-৬০ এর মধ্যে চলে আসবে।” এছাড়াও তিনি এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে জোকারে পরিণত হয়েছেন বলে কটাক্ষ করেন।

যদিও ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে একটি টুইট করে জানানো হয়েছে, মৃত ওই বিধায়কের পকেট থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোট। অন্যদিকে আবার বিজেপির তরফ থেকে আগামীকাল উত্তর দিনাজপুরের ১২ ঘন্টা সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।