‘মমতা ব্যানার্জী খুনি, ডাকাতের সর্দার অনুব্রত’, মল্লারপুর নিয়ে সৌমিত্র খাঁ

হিমাদ্রি মণ্ডল : মল্লারপুর পুলিশ লকআপে ১৪ বছরের কিশোর শুভ মেহেনার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির তরফ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে ওই যুবককে মেরে ফেলার অভিযোগ করা হচ্ছে। একইভাবে বামফ্রন্টের তরফ থেকেও এই ঘটনাকে নক্কারজনক ঘটনা বলে দাবি করা হয় এবং ঘটনার সাথে জড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করা হয়।

আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার মল্লারপুর থানা এলাকায় বিজেপির তরফ থেকে ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সকাল থেকে এলাকায় শুরু হয়েছে বন্ধ এবং সেই বন্ধে হাজির হয়েছেন বিজেপি রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র খাঁয়ের নেতৃত্বে দিন একটি মিছিল বের হয় এলাকায় এবং থানা ঘেরাও করার কর্মসূচি নেওয়া হয়। আর এই কর্মসূচি থেকেই সৌমিত্র খাঁ রাজ্যের শাসক দল, মুখ্যমন্ত্রী, অনুব্রত মণ্ডল এবং পুলিশকে করা আক্রমণ করেন।

তিনি এদিন বলেন, “মল্লারপুরে যাতে কেউ বিজেপি করতে না পারে তার জন্য পুলিশ এবং তৃণমূল যৌথভাবে ১৪ বছরের নাবালককে খুন করেছে। থানার পুলিশ হেফাজতের মধ্যে কিভাবে একজন ১৪ বছরের নাবালক মারা যায়? আমরা এটা নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন, এটা নিয়ে আমরা এসসি এসটি কমিশন পর্যন্ত যাবো, এটা নিয়ে আমরা হিউম্যান রাইটস পর্যন্ত যাবো। আমাদের দাবী হল থানার ওসিকে গ্রেফতার করতে হবে। আমাদের এখানে দেখার দরকার নেই, কে তৃণমূল করলো বা কি করলো। আমাদের মূল বক্তব্য হলো, কিভাবে এই ঘটনা ঘটতে পারে?”

এর পাশাপাশি তিনি এদিন শাসক দল এবং পুলিশকে আক্রমণ করে বলেন, “গতকাল ঘটনার পর আমরা ওই পরিবারের স্বার্থে এবং এলাকার মানুষদের স্বার্থে আন্দোলনে নেমে ছিলাম। আমরা মানুষের পাশে আছি। কিন্তু যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের পুলিশ ওই কিশোরের মা-বাবাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে। কেন তাদেরকে সকলের সামনে আনছেন না? আজ তো পুলিশ মৃতদেহ চোর, লাশ চুরি করছে পুলিশ। আর এই সকল ঘটনার বিরুদ্ধে আমাদের থানায় অবস্থান।”

এর পরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে আক্রমণ করে বলেন, “পরিষ্কার কথা হল মমতা ব্যানার্জি একজন খুনি। আর তার ডাকাতের সর্দার হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডল। ওরা কি মনে করছে। এক-দেড় মাস বাদে আমরা বুঝিয়ে দেবো। অনুব্রত মণ্ডলের পুলিশ যদি না থাকে তাহলে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসকে ঘরে থেকে বাইরে বের হতে দেবো না।”

তবে এই সকল ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হলেও শাসকদল তৃণমূলের তরফ থেকে বারংবার দাবি করা হচ্ছে বিজেপির সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর এই সকল ভিত্তিহীন অভিযোগের কোন উত্তর হয় না।