‘রত্না ব্যভিচারী, রক্ষিতা, পরপুরুষে লিপ্ত’, বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে বিস্ফোরক শোভন

নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চ্যাটার্জীর সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক তিক্ততায় পৌঁছেছে। তবে সেই তিক্ততায় রবিবার যেন নতুন মাত্রা যোগ হলো। রবিবার শোভন চ্যাটার্জি তার স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারী, রক্ষিতা সহ পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন।

গত তিন বছর ধরে রত্না চ্যাটার্জীর সঙ্গে শোভন চ্যাটার্জীর বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই মামলার কোনো নিষ্পত্তি হয়নি। এরই মধ্যে বিজয়া দশমীর দিন শোভন চ্যাটার্জি তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বৈশাখী ব্যানার্জির সিঁথিতে সিঁদুর দেন। এই সিঁদুর দানের পরেই শুরু হয় নতুন করে বাকযুদ্ধ।

ঘটনার পরেই রত্না চ্যাটার্জির মুখ খোলেন এবং বৈশাখী ব্যানার্জিকে ‘রক্ষিতা’ বলে কটাক্ষ করেন। রত্না চ্যাটার্জীর সেই কটাক্ষের উত্তর দিতে গিয়ে বৈশাখী ব্যানার্জি একাধিক অভিযোগ আনার পাশাপাশি রত্না চ্যাটার্জিকে আশ্রিতা বলে কটাক্ষ করেন। তবে এ যাবৎ এই দুজনের মাঝে শোভন চ্যাটার্জিকে সেভাবে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। কিন্তু রবিবারই নিজের মৌনতা ভাঙলেন শোভন বাবু।

মৌনতা ভেঙে শোভন বাবু তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন। এদিন শোভন বাবু বলেন, “সাত পাকে বাঁধা পড়েও রত্না রক্ষিতা হয়ে গিয়েছে। আর বৈশাখী সাত পাকে বাঁধা না পড়েও সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।”

এর পাশাপাশি শোভন বাবুর অভিযোগ, তার স্ত্রী রত্না তার অজান্তে বহুবার পরপুরুষের সঙ্গে বাইরে বেড়াতে গিয়েছেন। আর সেই সকল ঘটনার প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। এমনকি রত্না চ্যাটার্জির মোবাইলের কল লিস্ট ও ক্রেডিট কার্ডের খরচের লিস্ট রয়েছে তার কাছে। সেই সকল প্রয়োজনীয় অংশ বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও শোভন বাবু অভিযোগ করেছেন, তার ছেলে ও মেয়ে ঋষি এবং সুহানিকে কুশিক্ষা দিচ্ছে রত্না চ্যাটার্জী। রত্না চ্যাটার্জী তার জমি এবং অন্যান্য সম্পত্তি ভাড়া দিয়ে রোজগার করছে। এমনকি শোভন বাবু অভিযোগ করেছেন তার শ্বশুর দুলাল দাসের বিরুদ্ধেও। তিনি প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই তার সম্পত্তি নয়ছয় করার অভিযোগ তুলেছেন।