লাভপুরে অভিযোগকারীর বাড়িতে জোড়দার করা হলো পুলিশি নিরাপত্তা

অমরনাথ দত্ত : হাইকোর্টের নির্দেশে লাভপুর হত্যা মামলায় চার্জশিটে নতুন করে মনিরুল ইসলাম ও মুকুল রায়ের নাম উঠে আসার পরই অভিযোগকারীর বাড়িতে সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী দিলো জেলা পুলিশ। তবুও ওয়ারেন্ট হওয়া অভিযুক্তরা চোখ রাঙাচ্ছে বাড়ি এসে, অভিযোগ পরিবারের।

কলকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১০ সালের এই ঘটনায় নতুন করে তদন্তে নেমে চূড়ান্ত গোপনীয়তায় সাপ্লিমেনটারি চার্জশিট জমা দেয় বীরভূম পুলিশ। সেই চার্জশিটে উল্লেখযোগ্য ভাবেই দুটি নাম উঠে এলো। তারা হলেন, একদা তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতা বিধায়ক মণিরুল ইসলাম ও মুকুল রায়।ইতিমধ্যেই তাদের নামে ওয়ারেন্ট ও শমন জারি হয়। মোট আট জনের নামে ওয়ারেন্ট হয় তারা এখনও নাগালের বাইরে।

লাভপুর বুনিয়াডাঙা এলাকার ময়ূরাক্ষী নদীর বালিরঘাটের দখলদারি নিয়ে জেরিনা বিবির দশ ছেলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব লেগেছিল তৎকালীন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা মনিরুল ইসলামের। জেরিনা বিবির ছেলেরা সকলেই তখন সিপিএম সমর্থক। অশান্তি মেটাতে ২০১০ সালের ৩রা জুন বিকালে লাভপুরের নবগ্রাম বুনিয়াডাঙায় নিজের বাড়ির উঠানে সালিশি সভা ডেকেছিলেন মণিরুল ইসলাম। অভিযোগ সালিশি সভা চলাকালীন বচসা থেকে হাতাহাতি। সেই সময় জেরিনা বিবির তিন ছেলে কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখকে মারার অভিযোগ ওঠে মনিরুল ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। পরদিন অর্থাৎ ৪ই জুন মণিরুল ইসলাম সহ ৫২ জনের নামে লাভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে করে অপর এক ভাই সানোয়ার শেখ।

লাভপুরের কলেজ মোড়ে বাড়িতে থাকেন মামলার অভিযোগকারী সানোয়ার শেখ।শনিবার এই মামলার সাপ্লিমেনটারি চার্জশিট জমা পরতেই উত্তেজনা শুরু হয়। তাই রবিবার রাতেই সানোয়ার শেখের বাড়ি দুজন সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করে জেলা পুলিশ। কিন্ত এর মাঝেই চার্জশিটে নাম থাকা ওয়ারেন্ট হওয়া যাদব শেখ, শেরাই শেখ, শেখ টম, আনজাদ শেখরা বাড়ি এসে চোখ রাঙাচ্ছে বলে অভিযোগ সানোয়ার শেখের।