নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পরেই একাধিক সভা থেকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক ইস্যুতে বিঁধেছেন। আর এই সকল সভা থেকে তিনি এটাও দাবি করেছেন, ‘বাসন্তী পুজোর আগে কালীঘাটেও পদ্ম ফুটবে।’
শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবির পরেই বঙ্গ রাজনীতিকে গুঞ্জন শুরু হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। কিন্তু প্রশ্ন হল সত্যিই কি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন? বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা থাকলেও অবশেষে তিনি মুখ খুললেন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “পুরো বিষয়টি এখন আলোচনার স্তরে রয়েছে। এখনো আমি এবিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিই নাই। বিষয়টি এখনও পর্যন্ত সেই পর্যায়ে পৌঁছায় নি।”
আবার অন্যদিকে ওই সংবাদমাধ্যমকে বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, “বিজেপির তরফ থেকে কার্তিক বাবুর সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। আর এই ব্যাপারে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিনা তাও জানা নেই।”
যে কারণে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা আরও গভীর হচ্ছে। অন্ততপক্ষে দুই পক্ষের দু’রকম দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী গোপনে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে থাকা বসাচ্ছেন? অন্যদিকে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক খুব একটা ইতিবাচক নয়। পাশাপাশি তৃণমূল বিগত ১০ বছর ধরে রাজ্যের শাসন ভার চালালেও কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই ভাবে প্রথম সারিতে দেখা যায়নি।