আইনি ঝামেলায় শ্রাবন্তী, প্রমাণিত হলে ৭ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গে যেসকল ব্যক্তিত্বরা হামেশাই চর্চায় থাকেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন টলি সুন্দরী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী। নিজের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবন, এমনকি তাঁর ছেলে ও ছেলের প্রেমিকাকে নিয়েও তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যতম চর্চিত নারী হিসাবে লক্ষ্য করা যায়। আর এবারও শ্রাবন্তী চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন, তবে ভিন্ন কারণে।

শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী এবার চর্চা এসেছেন আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে। তাকে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন ১৯৭২-এর ৯, ১১, ৩৯, ৪৮, ৪৯, ৪৯এ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ বন্যপ্রাণকে জোর করে আটকে রাখার। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হেফাজত হতে পারে।

এই অভিনেত্রী কি এমন করলেন যার জন্য তার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন অনুযায়ী এমন একাধিক মামলা রুজু করা হলো? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবিতে একটি বেজির বাচ্চাকে নিয়ে পোজ দিতে দেখা গিয়েছে তাকে। পাশাপাশি ছবিতে লক্ষ্য করা গিয়েছে ওই প্রাণীটির গলায় জড়ানো রয়েছে মোটা শিকল।

শ্রাবন্তী সেই ছবিটি পোস্ট করার পাশাপাশি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘হঠাৎ করেই এক মিষ্টি বন্ধুর দেখা পেলাম। হ্যাশট্যাগ-অ্যানিম্যাল লাভ’। বেজি শাবককে এইভাবে শিকল দিয়ে বেঁধে ছবি পোস্ট করার পরিপ্রেক্ষিতে রোষানলে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে। কেউ কেউ এই ঘটনাকে অমানবিক বলে আখ্যা দেন। এর পরেই তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে ওয়াইল্ড লাইফ কন্ট্রোল সেলের কলকাতা শাখায়।

যদিও এই ঘটনার পর অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জীর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে জানা গিয়েছে, তিনি খুব তাড়াতাড়ি বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের বন্যপ্রাণীদের এইভাবে আটকে রাখা চরম অপরাধ।