মেধাতালিকা টপকে চাকরি তো নিয়েই ছিলেন, এবার স্কুল বাছা নিয়েও কারচুপি মন্ত্রিকন্যার

নিজস্ব প্রতিবেদন : এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নাম জড়ায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। এর পাশাপাশি নাম জড়ায় এই মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। মেধাতালিকা টপকে কারচুপির মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয় এবার তাঁর বিরুদ্ধে আরও এক মারাত্মক অভিযোগ উঠল।

এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে মামলাকারী ববিতা সরকারকে। ববিতা সরকার সেই তলবে সাড়া দিয়ে সিবিআই দপ্তরে যান এবং বেশকিছু তথ্য পেস করে আসেন বলে জানা যাচ্ছে। এই ববিতা সরকারের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার চাকরি যায় এবং চাকরির টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে হাজির হন ববিতা সরকার। সঙ্গে ছিলেন তার আইনজীবী ফিরদৌস শামীম। মামলার বিষয়ে ববিতা সরকার এবং তার আইনজীবীকে ৫ ঘন্টা ধরে প্রশ্ন করেন গোয়েন্দারা। আদালতে ববিতা কোন তথ্য প্রমাণ পেশ করেছিলেন তা জানতে চায় গোয়েন্দারা এবং সেই সকল তথ্য কোথায় থেকে পেয়েছিলেন তাও জানতে চাওয়া হয়।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ববিতা সিবিআই আধিকারিকদের জানান, ২০১৮ সালের অগাস্টে পরেশচন্দ্র অধিকারী তৃণমূলের যোগদানের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বদলে যায় মেধাতালিকা। একেবারে শীর্ষে চলে আসে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম। অঙ্কিতার থেকে ১৬ নম্বর বেশি পেলেও তাঁর নাম চলে যায় দ্বিতীয় স্থানে।

এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি ববিতা সরকার সিবিআই আধিকারিকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। সেই তথ্যটি হলো, মেধাতালিকা বদলে যাওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে বাড়ির পাশের স্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন অঙ্কিতা। দ্বিতীয় কাউন্সিলিংয়ে শূন্যপদের যে তালিকায় অঙ্কিতার স্কুল মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নাম ছিল না। শূন্যপদ ছিল ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি গার্লস হাই স্কুলের। শূন্যপদ না থাকা সত্ত্বেও সেখানেই বদলি করা হয় অঙ্কিতাকে।