Road Accident : দুর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা নিয়ে নয়া ঘোষণা, জারি ৭ দফা নির্দেশিকা

Road Accident : রাস্তাঘাটে বেরিয়ে আমরা আকছার নানান দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকি। চোখের সামনে দুর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যক্তিকে কাতরাতে দেখলেও, তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে বাধ্য হই অনেক সময়। কারণ তাকে সাহায্য করতে গেলে বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে যদি আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে হয়। এই আশঙ্কা থেকেই ইচ্ছা থাকলেও আমরা পিছিয়ে পড়ি। বাড়িয়ে দিতে পারি না সাহায্যের হাত।

হয়তো নিজের বিবেকের দংশনে দগ্ধ হই আমরা। কিন্তু পেরিয়ে যেতে হয় ঠুটো জগন্নাথ হয়ে। তবে এবার এসেছে রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকা। যা আপনার সাহায্য করার পথে ঢাল হয়ে দাঁড়াবে। দুর্ঘটনা গ্রস্থ ব্যক্তিকে সাহায্য করার বিনিময়ে আপনাকে আর আইনের ঝামেলায় জড়াতে হবে না। দুর্ঘটনার শিকার অচেনা ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আর বসে থাকতে হবে না দীর্ঘক্ষণ। হাসপাতালে অপেক্ষা করতে হবে না পুলিশের জন্যও।

প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনা গ্রস্থ কোনও ব্যক্তিকে উদ্ধার করলে যাতে উদ্ধারকারী কোনও রকম আইনি ঝামেলায় না পড়েন, তার জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্যগুলিকে অনেক আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক ২০১৫ সালে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেয় এই নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করতে। কিন্তু ২০১৫ সালে জারি করা সেই নির্দেশিকা এতদিন পড়েছিল হিম ঘরে। তবে এবার উদ্যোগী হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। মানুষের সুবিধার জন্য সাত দফার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে নবান্নের তরফ থেকে।

আরও পড়ুন : White Car: কালো-লাল কত রঙ থাকতে সাদা গাড়িই কেন বেশি বিক্রি!

এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুর্ঘটনা গ্রস্থ কোন ব্যক্তিকে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সাহায্যকারীকে আটকে রাখা যাবে না। তার নাম, ঠিকানা জেনে ছেড়ে দিতে হবে। যদি তিনি নিজের নাম প্রকাশ্যে আনতে না চান, সে ক্ষেত্রেও জোর করা যাবে না। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজিদারি আইনে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। যদি কাউকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে কোনও ব্যক্তি পুলিশকে ফোন করে জানান, সে ক্ষেত্রেও তার ব্যক্তিগত তথ্য জানার জন্য জোর করতে পারবে না পুলিশ।

দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু হলে হাসপাতাল থেকে পুলিশে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়, সেই রিপোর্টে যিনি সাহায্য করছেন, তাঁর অনুমতি নিয়েই নাম দিতে হবে। এমন কী, হাসপাতাল বা পুলিশের যে আধিকারিক সাহায্যকারীর নাম বা পরিচয় জানার জন্য জোরাজুরি করবেন, তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে প্রশাসন। নবান্নের আশা, এই নির্দেশিকার পর দ্বিধা কাটিয়ে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির পাশে থাকতে পাবেন সাহায্যকারী।