‘এই নম্বর পাওয়ার কথা নয়, বাড়াতে হবে’, প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও বীরভূমে

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন দুয়েক আগেই বীরভূমের রামপুরহাটের রামপুরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা স্কুল কর্তৃপক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাদের একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার নম্বর বাড়ানোর দাবিতে। আর এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল বীরভূমেরই মহঃবাজারের ডামরা উচ্চ বিদ্যালয়ে। তবে এদিনের এই বিক্ষোভ নজিরবিহীন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই স্কুলের পড়ুয়ারা প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে রাখেন। সকাল থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভের সমাপ্তি হয়নি রাত পর্যন্ত। ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ুয়ারা স্কুলের মধ্যে প্রধান শিক্ষককে আটকে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে হয় মহঃবাজার থানার পুলিশকে। তবে পুলিশ গিয়েও কোনো সুরাহা হয় নি। পুলিশের সামনেই চলতে থাকে বিক্ষোভ।

স্কুলের পড়ুয়াদের দাবি, “মাধ্যমিকে আমরা যে নম্বর পেয়েছিলাম সেই মোতাবেক একাদশ শ্রেণিতে যে নম্বর দেওয়া হয়েছে তাতে আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নয়। তাই আমরা চাই আমাদের নম্বর বাড়ানো হোক। আমাদের আশির মধ্যে কাউকে ৩০, কাউকে ৩৫ নম্বর দেওয়া হয়েছে। আমরা এই স্কুলে ১০২ জন পড়াশোনা করি। সবার ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। আবার কাউকে কাউকে রেজাল্ট দেওয়া হয়নি।”

ডামরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুষার মন্ডল জানিয়েছেন, “কাউন্সিলের নির্দেশমতো আমরা আগেই নম্বর পাঠিয়ে দিয়েছি। সে ক্ষেত্রে আমাদের আর কিছু করার নেই। এরপর নম্বরের কোন অভিযোগ থাকলে নিয়ম অনুযায়ী যাচাই করতে পারেন পরীক্ষার্থীরা।”

প্রসঙ্গত, পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভের মূলে রয়েছে ২০২১ সালের বাতিল হওয়া উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে পর্ষদ জানিয়েছে, ২০১৯ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার চারটি বিষয়ের ৪০% এবং ২০২০ সালের একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার মোট নম্বরের ৬০ শতাংশ নম্বরের ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হবে। সে ক্ষেত্রে অনেক পড়ুয়ারাই দেখছেন একাদশ শ্রেণিতে তাদের নম্বর কম রয়েছে। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে একাধিক জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ।