লকডাউনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দিতে পড়ুয়াদের দেওয়া হলো মাস্ক তৈরির দায়িত্ব

গৌড় চক্রবর্তী : করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যখন নেমে পড়েছে গোটা দেশ, তখন পিছিয়ে নেই বীরভূমের সদাইপুর এলাকার চিনপাই হাইস্কুলও। কিছুদিন আগে মিডডে মিলের চাল, আলু, বিতরণের পাশাপাশি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয়েছিল এক্টিভিটি টাস্ক। এবার স্কুলে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের লকডাউন পরিস্থিতিতে বাড়ীতে একঘেয়েমি কাটাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাস্ক তৈরির প্রজেক্ট দিলেন। আর এজন্য তিনি ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি রেশন দোকানকে যুক্ত করলেন। মাস্ক তৈরির গাইডলাইন ছাপানো লিফলেট ছাপিয়ে রেশন ডিলারদের মাধ্যমে অভিভাবকদের বিলি করার পরামর্শ দিলেন। যাতে রেশন দোকানে রেশন তুলতে এসে অভিভাবকরা ওই লিফলেট সংগ্রহ করবে এবং তার বাড়ির পাঠরত ছেলে কিম্বা মেয়ে ওই লিফলেট পড়ে মাস্ক তৈরি করবে।

এতে একদিকে যেমন বাড়ীতে একঘেয়েমি কাটানো যাবে তেমনি ছাত্রছাত্রীর পাশাপাশি তার বাড়ির সকল সদস্যকেই সচেতন করা হবে। তবে মাস্ক শুধু তৈরি করলেই হবে না। বরং তৈরি করে তা বাড়ির সকলকে দেবে এবং এর গুরুত্ব বোঝাবে। একজন ছাত্র ছাত্রীকে কমপক্ষে নূন্যতম পাঁচটি মাস্ক তৈরি করতে হবে। ভবিষ্যতে স্কুল খুললে ছাত্রছাত্রীরা তাদের তৈরি এই মাস্ক ভালোভাবে পরিষ্কার করে স্কুলে নিয়ে আসবে। এই মাস্ক তৈরির উপর নম্বরের বিষয়টিও থাকছে।

পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের কর্মশিক্ষার সাথে এই নম্বর যোগ করা হবে। নবম দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জীবন বিজ্ঞান প্রজেক্ট হিসাবে এটি চিহ্নিত হবে ও নম্বর প্রদান করা হবে।