উচ্চমাধ্যমিকে ফেল, পাশ করানোর দাবিতে প্রধান শিক্ষিকাকে ঘিরে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর বিকল্প পদ্ধতি অনুসরণ করে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। তবে এর পরেই শুক্রবার বীরভূমের একাধিক স্কুলে বিক্ষোভে সামিল হলেন পড়ুয়ারা এবং তাদের অভিভাবকরা। কোথাও কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ, কোথাও আবার ফেল করা পরীক্ষার্থীকে পাশ করানোর দাবিতে বিক্ষোভ। এমনই ঘটনা ঘটলো বোলপুরের বোলপুর শৈলবালা বালিকা বিদ্যালয়ে।

বোলপুর শৈলবালা বালিকা বিদ্যালয়ে বিক্ষোভে সামিল হলেন ওই বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ এবং তার অভিভাবকেরা। তাদের দাবি, যেখানে অন্যান্য স্কুলে পড়ুয়ারা ভুড়িভুড়ি নম্বর পেয়েছেন সেখানে এই স্কুলের পড়ুয়ারা কেন ফেল করবে। যারা ফেল করেছে তাদের পাশ করাতে হবে।

জানা যাচ্ছে, এই স্কুলে প্রায় দেড়শ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল। সেই জায়গায় ৭০ জন ফেল করেছে। তারা বেশিরভাগই বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ে উত্তীর্ণ নম্বর সংগ্রহ করতে পারেনি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই সকল পড়ুয়াদের অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি, যেখানেই পরীক্ষা নেওয়া হয়নি সেই জায়গায় কেন এইভাবে উত্তীর্ণ নম্বর দেওয়া হলো না।

এক পরিবার অভিভাবক পলি সাহা জানান, “অন্যান্য স্কুলের পড়ুয়াদের ফার্স্ট ডিভিশন, সেকেন্ড ডিভিসনে পাশ করানো হয়েছে। আর আমাদের এই স্কুলের প্রায় ৭০ জনকে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিকে থার্ড ডিভিশন মানেই ফেল। মাধ্যমিকে যেখানে অন্যান্য স্কুলের ছেলেমেয়েরা থার্ড ডিভিশন পেয়েছিল তারা ফার্স্ট ডিভিশন পেয়ে গেল উচ্চমাধ্যমিকে। তাহলে আমাদের শৈলবালা স্কুলের মেয়েরা কেন ফেল করবে? যেখানে পরীক্ষা হয়নি সেখানে আমাদের মেয়েরা কি করে ফেল করতে পারে? কেন আমরা এটা মেনে নেব?”

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বোলপুর শৈলবালা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রুবি ঘোষ জানিয়েছেন, “উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের নম্বর স্কুল তৈরি করেনি। নম্বর দিয়েছে শিক্ষা সংসদ। সুতরাং এখানে তাদের কিছু করার নেই। আর এবার মাধ্যমিকের মত উচ্চমাধ্যমিকে ১০০% পড়ুয়া পাশ করেনি। সুতরাং শিক্ষা সংসদ যা করেছে তার উপর আমাদের কিছু করার নেই।”