নিজস্ব প্রতিবেদন : মঙ্গলবার রাতে প্রয়াত হন ভারতের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। হরিয়ানার আম্বালা ক্যান্টনমেন্টে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই ফেব্রুয়ারী তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা হরদেব শর্মা ছিলেন একজন সক্রিয় আরএসএস কর্মী।
ছোটবেলা থেকেই সুষমা স্বরাজ অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। স্কুলের পঠন-পাঠন শেষ করে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সংস্কৃত এবং আইনে স্নাতক হন। তারপর ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে আইনজীবী হিসাবে যোগ দেন হরিয়ানা হাইকোর্টে।
এরপর সত্তরের দশকে সরাসরি রাজনীতিতে প্রবেশ। সে সময় তিনি হরিয়ানা জনতা পার্টিতে যোগ দেন। তারপর মাত্র ২৭ বছর বয়সে ওই দলের সভাপতির পদ পান। দলের কনিষ্ঠতম সভাপতি হিসাবে সেই পদ সামলান তিনি। এছাড়াও হরিয়ানার কনিষ্ঠতম মন্ত্রী হিসাবে মন্ত্রিসভায় শপথ গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি হরিয়ানার শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন।
তারপর রাজনৈতিক জীবনের ধীরে ধীরে উত্থান। ১৯৯৮ সালে তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন। পঞ্চদশ লোকসভাতে তিনি সামলান বিরোধী দলনেত্রী পদ।
২০১৪ সালে এনডিএ সরকার কেন্দ্রে এলে বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব চাপে তাঁর ঘাড়ে। যে দায়িত্ব তিনি সফলতার সাথে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সামলান। এ সময় তিনি জাতি ধর্ম রাজনৈতিক বৈষম্য নির্বিশেষে যখনই কোন ভারতীয় বিদেশে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তখনই তিনি তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমনকি কোন পাকিস্তানী ভারতে চিকিৎসা করাতে আসার ক্ষেত্রে নির্দ্বিধায় তাকে ভিসা পাসপোর্টের অনুমতি দিয়েছেন। যে কারণে তিনি পাকিস্তানীদের কাছেও সম্মানীয়। সুষমা স্বরাজ বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি দ্বিতীয় ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী, এর আগে প্রথম মহিলা হিসাবে ইন্দিরা গান্ধী এই দায়িত্ব সামলেছিলেন।
২০১৬ সালে তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগতে থাকেন। প্রতিস্থাপন করা হয় তাঁর কিডনি। তারপর অসুস্থতার কারণে দ্বিতীয় মোদি সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি নেন। ৬ই আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি দিল্লির এইমসে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।