অয়নের ‘কবাডি কবাডি’, কী ছিল চুক্তি, কত টাকা পারিশ্রমিক, জানালেন শ্বেতা চক্রবর্তী

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে তদন্তের জাল ছড়িয়ে দিতেই একের পর এক দুর্নীতিবাজদের মুখোশ খুলে যাচ্ছে। দুর্নীতিবাজদের এই মুখোশ খুলতেই দেখা যাচ্ছে কেউ জিরো থেকে হিরো অর্থাৎ বিড়ি চেয়ে খাওয়া ব্যক্তিও এখন কোটিপতি। গত কয়েক দিনে এইরকম বেশ কয়েকজনের মুখ দেখেছেন রাজ্যের বাসিন্দারা।

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার মুখোশ খুলে যাওয়াদের তালিকায় নাম জড়িয়েছে অয়ন শিলের (Ayon Shil)। আর তারই সঙ্গে নাম জড়িয়েছে লাস্যময়ী শ্বেতা চক্রবর্তীর (Sweta Chakraborty)। শ্বেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে অয়ন শীলের প্রথম পরিচয় হয় পঞ্চায়েত অফিসে কাজ করার সময়। ২০১৭ সালে শ্বেতা জিরাট বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ট্রান্সফার হয়ে ডুমুরদোহো পঞ্চায়েতে সহকারি ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিযুক্ত হন।

নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়ন শীল গ্রেপ্তার হওয়ার পর জানা যাচ্ছে ধাপে ধাপে শ্বেতা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন অয়ন। এমনকি কামারহাটিতে যে ফ্ল্যাটে অয়ন এবং শ্বেতা থাকতেন সেখানে তারা মামা ভাগ্নির পরিচয় দিয়ে থাকতেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও শ্বেতা চক্রবর্তী দাবি করেছেন, অয়নের সঙ্গে তার কেবলমাত্র কাজের সম্পর্ক।

শ্বেতা চক্রবর্তী দাবি করেছেন, অয়নের প্রোডাকশন হাউজ এবিএস ইনফোজোনের হয়ে তিনি একটি সিনেমা এবং একটি শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেছেন। যে সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন সেই সিনেমাটির নাম হল কবাডি কবাডি। এই সিনেমার পরিচালক কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্য চরিত্রে যারা অভিনয় করেছেন তারা হলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার ও অর্জুন চক্রবর্তী। সিনেমাতে সোহিনীর বান্ধবীর জায়গায় অভিনয় করেছেন শ্বেতা চক্রবর্তী।

প্রোডাকশন হাউসে কাজ করার জন্য হণ্ডা সিটি গাড়িটি দেওয়া হয়েছিল এদিক-ওদিক ব্যবহার করার জন্য বলে দাবি করেছেন শ্বেতা চক্রবর্তী। অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে কবাডি কবাডি সিনেমার জন্য কত পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী? এই বিষয়ে কোন লিখিত চুক্তি হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কেন ছবির কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় তাও তিনি জানতেন না। সিনেমার জন্য পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন কিনা, কতবার কত টাকা পেয়েছিলেন সেই সম্পর্কে কিছু জানাননি শ্বেতা চক্রবর্তী।