লকডাউনে বাড়ি ফেরার জন্য চুরি করা বাইক পার্সেল করে ফেরত দিলেন মালিককে

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণ ছাড়াতেই হঠাৎ করে লকডাউন পড়ে গেল। পরিযায়ী শ্রমিকদের মাথায় পড়লো হাত। কী করে বাড়ি ফিরবেন তারা? কিছু মানুষ হাঁটা ধরলেন, কিছু মানুষ অপেক্ষা করলেন সরকারের বরাদ্দ ট্রেন-বাসের জন্য। কিন্তু এরই মধ্যে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে কাজ করা একজন পরিযায়ী শ্রমিক একটি অন্য রকম কাজ করলেন।

তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের একটি চায়ের দোকানে তিনি কর্মরত ছিলেন। হঠাৎ লকডাউন পড়ে যায়। বুঝে উঠতেই পারছিলেন না কী করে বাড়িতে যাবেন! লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে থাকায় এক সময় তিনি স্থির করেন যেভাবেই হোক বাড়ি পৌঁছতে হবে। এর মধ্যে তার চায়ের দোকানের সামনে স্থানীয় এক যুবক বাইক রাখেন।

সেই মুহুর্তেই বাইকটি চুরি করে ওই কর্মচারী বাড়ি ফিরে যান। বাইকের মালিক সুরেশ কুমার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে পান চোরটি আসলে কে? পরিচিত মানুষ চুরি করায় তিনি রেগে গিয়েছিলেন।

কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিক-কর্মচারী তো আদতে চোর নন। তিনি পরিস্থিতির শিকার মাত্র। তাই ১৫ দিন পর পার্সেল ডেলিভারি করে তিনি সুরেশের বাইকটি ফেরত দিয়ে দেন। ডেলিভারি অফিসে গিয়ে সুরেশ নিজেই চমকে ওঠেন যখন সে জানতে পারে ওই কর্মচারী ১৪০০ টাকা ডেলিভারি চার্জ দিয়ে তার বাইক ফেরত পাঠিয়েছেন।পরিচিত মানুষ বাইক চুরি করায় যতটা রেগে গেছিলেন সুরেশ ,চুরি যাওয়া বাইক ফেরত পাওয়াই ততখানিই খুশি হয়েছেন তিনি।

সত্যি পরিস্থিতি মানুষকে কত কিছুই না করতে বাধ্য করে। তাই কোনরকম অপবাদ দেওয়ার আগে মানুষের পরিস্থিতিকেও বিচার করে নেওয়া উচিত। চায়ের দোকানের ওই কর্মচারী এই কথাটিই প্রমাণ করল।