উপর থেকে তারাপীঠ, কেমন দেখায় তারা মায়ের মন্দির

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলার বুকে যে সকল তীর্থক্ষেত্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো শক্তিপীঠ তন্ত্রপীঠ তারাপীঠ। সচরাচর রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকেও এই তারাপীঠে পুণ্যার্থীদের সমাগম হয়। এখানে আগত পুণ্যার্থীরা তারাপীঠ মন্দির এবং তারা মায়ের দর্শন করেন।

তবে এই তারাপীঠ এবং তারাপীঠ মন্দিরকে উপর থেকে দেখতে কেমন লাগে তা হয়তো সবার দেখার সুযোগ হয়ে ওঠে না। তবে এই সুযোগ হয়েছে কৌশিকী অমাবস্যায় নিরাপত্তার জন্য যে সকল ড্রোন ওড়ানো হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে। কৌশিকী অমাবস্যায় প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগমের কথা মাথায় রেখে তারাপীঠ মন্দির কমিটি এবং বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়। সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই পাঁচটি ড্রোন উড়ানো হয়।

এছাড়াও তারাপীঠে ১৩১ টি বাড়তি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। পাশাপাশি ছিল বিভিন্ন জায়গায় ওয়াচ টাওয়ার এবং মেডিকেল টিম। মন্দির চত্বরে আগত পুণ্যার্থীদের যাতে কোনরকম অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্য এই সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। যদিও যে পরিমাণে পুণ্যার্থীদের আগমণের আশা করা হয়েছিল তা হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।

রামপুরহাট তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে আশা করা হয়েছিল এই বছর ৭ থেকে ৮ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হতে পারে। তবে সেই সংখ্যায় কোনভাবেই পৌঁছানো যায়নি। স্বাগত পুণ্যার্থীদের দাবি সংখ্যা অনেক কম। যদিও তারাপীঠ মন্দির কমিটির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ৫ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছিল।

তবে এই সমাগম কেন কম? প্রথম কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে, এখনো মানুষ করোনাভীতি থেকে বের হতে পারেন নি। আবার অনেকেই মনে করছেন, তারাপীঠ থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে যানবাহন আটকে দেওয়ার কারণে অনেক পুন্যার্থী মুখ ঘুরিয়েছেন মন্দিরে আসা থেকে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু কারণ থাকলেও পুণ্যার্থীদের একাংশ মন্দির কমিটি এবং প্রশাসনের অসহযোগিতাকেও দায়ী করছেন।