গ্রহণের দিন তারাপীঠ থেকে বক্রেশ্বর ৫ সতীপীঠের পুজোর সময় পরিবর্তন, ঘোষণা কর্তৃপক্ষের

লাল্টু : যে কোন গ্রহণ মাত্রই বন্ধ থাকে তারাপীঠ মন্দির। সুপ্রাচীনকাল থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে বলে জানা গিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। সেইমতো ডিসেম্বর মাসের শেষে যে দিন সূর্য গ্রহন রয়েছে, সেদিন গ্রহণের সময় তারাপীঠ মন্দির বন্ধ রাখার ঘোষণা মন্দির কর্তৃপক্ষের। মন্দির বন্ধের পাশাপাশি সেদিন সেসময় পূজোপাঠও বন্ধ থাকবে।

মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৬ শে ডিসেম্বর বাংলার ৯ই পৌষ সূর্য গ্রহনের সময় বন্ধ থাকবে তারাপীঠ মন্দির। সেদিন সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১:৩৬ পর্যন্ত মন্দির বন্ধ রাখার পাশাপাশি বন্ধ থাকবে সমস্ত রকম পুজোপাঠ। তবে ভক্তদের সুবিধার্থে সেদিন ভোর ৩ টে থেকে শুরু হবে তারা মায়ের পুজো।

তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, “প্রাচীনকাল থেকেই তারাপীঠ মন্দিরে এই নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। সূর্যগ্রহণ হোক অথবা চন্দ্রগ্রহণ, গ্রহণের সময় তারাপীঠ মন্দির খোলা থাকে না। গ্রহণের সময় হয় না কোন রকম পূজোপাঠও। গ্রহণের সময় মন্দির চত্বরে হরিনাম সংকীর্তন হয়, গ্রহণ শেষে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। বিশেষ পুজোর পরেই মন্দিরের দরজা খোলা হয়।”

এই ধরনের সূর্যগ্রহণ প্রায় ১৭০ বছর পর হতে চলেছে। যার জন্য মানুষের মধ্যে কৌতূহল ও আগ্রহ যথেষ্ট। তাই ওই দিন তারাপীঠ ছাড়াও বক্রেশ্বর সহ জেলার আরও পাঁচ সতীপীঠ গ্রহণের সময় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বক্রেশ্বরে বক্রেশ্বর শিব মন্দির, মহিষাসুরমর্দিনী মন্দির, বটুক ভৈরবনাথ মন্দির ও গণেশের মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ থাকবে, বন্ধ থাকবে সমস্ত পূজাপাঠ।

দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা কোন গ্রহণ উপলক্ষে এই দীর্ঘ সময় বক্রেশ্বর মন্দিরের গর্ভগৃহ ও পূজাপাঠ বন্ধ থাকা এই প্রথম ও ইতিহাস বলে দাবি করেছেন বক্রেশ্বরের সেবাইতদের একাংশ। তারা আরও জানান, ঐদিন গ্রহণ শেষ হওয়ার পর অভিষেক হবে দেবতাদের তারপর পুজোপাঠ শুরু হবে এবং দর্শনার্থীরা দর্শন ও পুজো করতে পারবেন দুপুর দুটোর পর।