১ লা জুন থেকে খুলছে না তারাপীঠ, সিদ্ধান্ত মন্দির কমিটির

নিজস্ব প্রতিবেদন : শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ১লা জুন সকাল ১০টা থেকে রাজ্যের মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার খোলা যাবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী ধর্মীয় স্থান খোলার অনুমতি দিলেও এখনই মন্দির খোলার পথে হাঁটছে না পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র তারাপীঠ। বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করার পরই খোলা হবে তারাপীঠ মন্দির বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি।

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে মন্দির খোলার বিষয়ে অনুমোদন পাওয়ার পর শনিবার তারাপীঠ মন্দির কমিটির তরফ থেকে একটি বৈঠক ডাকা হয়। ঠিক করা হয় সেই বৈঠকে সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কবে মন্দির খোলা হবে তা ঠিক করা হবে। এরপর এদিন এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় আগামী সোমবার অর্থাৎ ১লা জুন থেকে আপাতত তারাপীঠ মন্দির খোলা হবে না। আগে সমস্ত রকম সুরক্ষা ব্যবস্থা করা হবে তারপর মন্দির খোলা হবে। সুরক্ষা ব্যবস্থা বলতে মন্দিরে ঢোকার আগে রাস্তায় স্যানিটাইজার ট্যানেল বসানো, প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে মন্দিরে প্রবেশ করা ইত্যাদির পরিকল্পনা রয়েছে মন্দির কমিটির।

মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, “মুখ্যমন্ত্রী অনুমতি দিয়েছেন মন্দির খোলার। তবে সুরক্ষা ব্যবস্থা ও করোনা সংক্রান্ত সর্তকতা যতক্ষণ না নেওয়া সম্পূর্ণ হচ্ছে ততদিন মন্দির খোলার পথে আমরা হাঁটবো না। সমস্ত কিছু বন্দোবস্ত করার পর পুনরায় ১৪ তারিখ বৈঠক করে মন্দির খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এছাড়া মন্দিরে ১০ জনের বেশি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তা কিভাবে বাস্তবায়িত করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে মন্দির কমিটি। তবে যেটুকু মনে করা হচ্ছে সমস্ত কিছু বন্দোবস্ত হওয়ার পর হয়তো ১৫ ই জুন থেকে খুলতে পারে তারাপীঠ মন্দির।

এদিকে তারাপীঠ ছাড়াও আগামী ১লা জুন থেকে বেলুড় মঠ না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। সেখানেও আগামী ১৬ অথবা ২০ জুনের পর প্রবেশ করতে পারবেন ভক্তরা। অন্যদিকে ১লা জুন থেকে খুলছে বক্রেশ্বর, নন্দিকেশ্বরী তলা, নলাটেশ্বরী, কঙ্কালীতলা। প্রতিটি মন্দিরেই ১০ জন করে প্রবেশ করানো হবে। পাশাপাশি ভিড় এড়াতে বড় কোনো উৎসবের দিন অনেক মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।