‘একুশের নির্বাচনে শিক্ষকরা তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মীর মত কাজ করবে’, প্রলয় নায়েক

লাল্টু : বর্তমান করোনা আবহেও বারংবার উঠে আসছে বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচন। শাসকদল হোক অথবা বিরোধীরা, কেউই আগামীদিনের এই নির্বাচনে কাউকেই বিনা লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে নারাজ। যে কারণে নিজেদের ঘর সাজাতে এখন থেকে লড়াইয়ে শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরই। আর এসবের মাঝেই শুক্রবার বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক জানালেন, ‘একুশের নির্বাচনে শিক্ষকরা তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে কাজ করবে’। আর এহেন মন্তব্যের পরেই বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলের দাবি, ‘উনি বললেই তো আর হবেনা।’

শুক্রবার বীরভূমের দুবরাজপুর শহরে দুবরাজপুর দক্ষিণ চক্রের শিক্ষক সংগঠনের উদ্যোগে এলাকার আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয় আদিবাসী পড়ুয়াদের খাতা, কলম, পেনসিল, টিফিন, গাছ বিতরণ করার একটি অনুষ্ঠান করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র, বীরভূম জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক সহ, এলাকার বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউড়ি, দুবরাজপুর পৌরসভার প্রশাসক সহ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। আর এই অনুষ্ঠান শেষে প্রণয় নায়েককে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমন মন্তব্য করতে শোনা যায়।

তিনি বলেন, “২০২১ সালের ভোট নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে বীরভূম জেলায় অগ্রণী ভূমিকা নেবে শিক্ষক সংগঠন। আমার শিক্ষক সমাজ, আমার শিক্ষাগুরুকুল ২০২১ সালের নির্বাচনে তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে কাজ করবে।”

একুশের ভোটের শিক্ষকদের তৃণমূলের হয়ে একনিষ্ঠভাবে কাজ করার যে দাবি তুলেছেন প্রলয় নায়েক তার জবাবে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল জানান, “ডাক্তার লাগাক, শিক্ষক লাগাক কোনভাবেই একুশের বৈতরণী পার হবে না। একুশেই ওদের ভরাডুবি হবে এটা পরিষ্কার। ওদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আর উনি বলে দিলেন তাতেই শিক্ষকরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে শুরু করলো এটা তো নয়। উনি বলে দিতেই পারেন, কিন্তু তৃণমূলে প্রকৃত শিক্ষক আছে কজন, সেটা তো খোঁজ নিয়ে দেখুক। এখন যতজন আছেন, ভয়ে আছেন।”