করোনা প্রকোপে স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছাবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা

হিমাদ্রি মন্ডল : দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তেই বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত রকম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছাত্রজীবন। বিশেষ করে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়ারা। আমাদের মত দেশ তথা রাজ্যে যেখানে প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের বেশিরভাগ অংশই সরকারি প্রাথমিক স্কুলের উপর নির্ভরশীল। তবে এবার এই সকল পড়ুয়াদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে অভিনব পথে হাঁটতে চলেছে বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।

শুক্রবার সিউড়িতে বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক জেলার বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন। তাদের তিনি অনুরোধ করেন স্কুল বন্ধ থাকা অবস্থায় তারা পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পঠনপাঠনের বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার বিষয়ে। আর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের এই আবেদনে শিক্ষক সংগঠনগুলি সাড়া দিয়ে জানাই তারা এই উদ্যোগে সহমত। শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পঠন-পাঠনের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি কোন পাঠ্যসামগ্রী প্রয়োজন পড়লে তার যোগানো দেবেন বলে জানা গিয়েছে।

এবিষয়ে বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক জানান, “আমাদের জেলায় ৩ লক্ষের বেশি প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের পড়ুয়া রয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগটাই গ্রামাঞ্চলের। তাই তাদের কাছে কিভাবে পাঠ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া যায় এবং পঠন-পাঠনের তদারকি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় আমাদের তরফ থেকে শিক্ষক সংগঠনগুলিকে অনুরোধ করা হয় বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই সমস্যা সমাধানের জন্য। পাশাপাশি পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সচেতন করা। আর এই আলোচনা থেকে যে ফলাফল বেরিয়েছে তাতে আগামী ২২ তারিখ থেকে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়ুয়াদের সাথে কথা বলা, তাদের পঠন-পাঠনে নজর রাখা ও তাদের চাহিদামত পাঠ্য সামগ্রী সরবরাহ করার কর্মসূচি শুরু করছি।”

বীরভূম জেলা জুড়ে ২৪০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আর এই সকল বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা কম করে ৩ লক্ষ। এই বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে আগামী ২২ শে জুন থেকে কমকরে ১০ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা বাড়ি বাড়ি পৌঁছাবেন বলে জানা গিয়েছে।