যেমন কথা তেমন কাজ, ট্রেন লেট করায় ক্ষতিপূরণ পেতে চলেছে ৯৫১ জন রেলযাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন : রেলের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। আর এবার তা কার্যকারী হলো। গত শনিবার ট্রেন দেরী হওয়ার কারণে তেজস এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে রেলের তরফে। ট্রেনের ৯৫১ জন যাত্রী এই ক্ষতিপূরণ পাবেন। তেজস এক্সপ্রেস প্রায় তিন ঘণ্টা দেরী করেছে এদিন।

ঘটনা ঘটেছে এমন, লখনউ থেকে দিল্লিগামী তেজস এক্সপ্রেসের লখনউ ছাড়ার সময় ছিল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। কিন্তু ট্রেনটি রক্ষণাবেক্ষণের কারনে ছাড়ে ৮টা ৫৫ মিনিটে। যে কারনে ট্রেনটি নির্ধারিত সময় ১২টা ২৫ মিনিটের বদলে দুপুর ৩টে ৪০ মিনিটে পৌঁছায়। একই ভাবে দিল্লি থেকে লখনউগামী ট্রেনটিও দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিটে না ছেড়ে ৫টা ৩০ মিনিটে রওনা দেয়। ফলে একই দিনে দুদিকের যাত্রাতেই গন্তব্যে পৌঁছতে দেরী করে তেজস।

ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে আইআরসিটিসি’র চিফ রিজিওনাল ম্যানেজার অশ্বিনী শ্রীবাস্তব জানান, শনিবার তেজস এক্সপ্রেসের সওয়ার হওয়া যাত্রীদের কাছে ইতিমধ্যেই তাঁদের মোবাইল ফোনে একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে যেখানে ক্লিক করলেই তাঁরা ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন।

তেজস এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে আইআরসিটিসি’র ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষিত নীতি অনুযায়ী, ট্রেনটি ছাড়তে দেরি হওয়া সত্ত্বেও যদি গন্তব্যে সঠিক সময় পৌঁছায় তাহলে যাত্রীরা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন না। কিন্ত শনিবার ট্রেনটি দুদিকেই দেরী হওয়ায় লখনউ থেকে ওঠা ৪৫১ জন যাত্রী এবং দিল্লি থেকে লখনউয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ৫০০ জন যাত্রী এই ক্ষতিপূরণ পাবেন। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ যাত্রী পিছু ২৫০ টাকা বলে জানানো হয়েছে।

তবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে ক্ষেত্রে রয়েছে বিশেষ কয়েকটি ধাপ। ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে ১ ঘন্টা দেরি করলে গ্রাহকরা পাবেন ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ। দেরি হওয়ার সময় ২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে ট্রেনের তরফ থেকে যাওয়া ক্ষতিপূরণের অঙ্ক বেড়ে হয়ে যাবে ২৫০ টাকা। তবে প্রথম ক্ষতিপূরণ নয়, প্রথম এই বেসরকারি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত রেল যাত্রীদের জন্য থাকছে গুচ্ছ গুচ্ছ পরিষেবার উপহার।

তেজসের এক্সপ্রেসের যাত্রীরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ২৫ লক্ষ টাকা বীমা পাবেন। এছাড়াও যাত্রীদের বাড়ি থেকে লাগেজ আনা এবং পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেবে আইআরসিটিসি। ট্রেনের এক্সিকিউটিভ ক্লাসের জন্য থাকছে বিশেষ লাউঞ্জ। এমনকি এই ট্রেনে বিমানের মত ট্রেন সেবিকাও থাকছেন।

রেলের তরফে জানা গিয়েছে, ভারতে এই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে বেসরকারি সংস্থা দ্বারা এই ট্রেনটি চালানো হচ্ছে। পরীক্ষায় সফল হলে আগামীদিনে আরও অনেকগুলি রুটে বেসরকারি সংস্থা দ্বারা ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।