নিজস্ব প্রতিবেদন : অরবিটার সুরক্ষিত, মন খারাপ করোনা, এভাবেই কবিতার আকারে খোলা চিঠি লিখে ইসরোর বিজ্ঞানীদের পাশে দাঁড়ালেন ১০ বছরের খুদে পড়ুয়া। যে খোলা চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
২০১৯ সালের ২২ শে জুলাই শ্রীহরিকোটা থেকে চাঁদের পথে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান ২। প্রায় দেড় মাস পর গত ৭ই অক্টোবর রাত্রি দেড়টা থেকে আড়াইটের মধ্যে চাঁদের মাটিতে অবতরণের পরিকল্পনা ছিল ল্যান্ডার বিক্রমের। পরিকল্পনা মতো রাত্রি ১:৩৮ মিনিটে অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিক্রমের গতিবেগ সেকেন্ডে ১.৮ কিলোমিটার থেকে নামিয়ে আনা হয় ০ তে। তারপর শুরু হয় হার্ড ব্রেকিং কাউন্টডাউন। হার্ড ব্রেকিং প্রক্রিয়া নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর শুরু হয় ফাইন ব্রেকিং পর্ব। আর এই পর্ব শুরু হতেই দুর্ভাগ্যবশত দেখা দেয় বিপর্যয়। এই পর্যায়েই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিক্রমের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরে হতাশ হয়ে পড়েন ইসরোর বিজ্ঞানী এবং কর্মীরা।
তবে ইসরোর এই কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠায় মুগ্ধ গোটা দেশ, ইসরোর বিজ্ঞানীদের পাশে যে রয়েছে সমগ্র দেশবাসী তা যেমন প্রকাশিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্টে, ঠিক তেমনি এই খুদে পড়ুয়ার খোলা চিঠি যেন দেশবাসীদের মনের কথা উন্মুক্ত করেছে।
চাঁদের মাটি ল্যান্ডার বিক্রম ছুঁতে পেরেছে একথা আবার আমরা জানতে পারি রবিবার ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ কে শিবনের সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে। তবে এখনো সংযোগ তৈরি করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু তাতেও এই চন্দ্র যাত্রার সফলতা এসেছে ৯৫%, কেবল অধরা ৫%। আর বিক্রম নিয়ে সুসংবাদ এর আশায় তাকিয়ে গোটা দেশবাসী।
খুদের ওই চিঠিতে প্রকাশিত হয়েছে, “এত তাড়াতাড়ি আশাহত হবেন না আমরা নিশ্চয়ই চাঁদে পৌঁছাবো। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য চন্দ্রযান ৩ রা আগামী জুনেই লঞ্চ করবো। ভুলে যাবেন না অরবিটার এখনো সেখানে রয়েছে, এটা আমাদেরকে চাঁদের ছবি পাঠাতে থাকবে যেটা আমাদের পরবর্তী মিশনে কাজে লাগবে।
এটা আমাদের বলে দেবে আমাদের কোথায় ও কিভাবে যেতে হবে ও পরবর্তী পরিকল্পনা।
আমি আশা করছি বিক্রম চাঁদে অবতরণ করেছে এবং প্রজ্ঞান এখনো বেঁচে রয়েছে এবং আমাদেরকে ছবি পাঠানোর জন্য তৈরি হচ্ছে। আমরা সফল হবোই।
ইসরোর বিজ্ঞানীরা আমাদের অনুপ্রেরণা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। ইসরো তোমরা আমাদের গর্ব। এক মহান দেশের হয়ে আপনাদের জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।”
"Feelings of a Grateful Indian" written by my son who is 10 year old.@isro India is grateful to you. You are our inspiration. @PMOIndia @narendramodi_in pic.twitter.com/wOLAUCf6gX
— Jyoti Kaul 🇮🇳 (@jytkoul) September 7, 2019
সেইরকমই এই খুদে পড়ুয়াও আশার আলোর দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সেই আশার আলোই তার লেখায় পরিস্ফুটিত। খুদে ওই পড়ুয়ার চিঠিটি টুইটার হ্যান্ডেলের পোস্ট করেছেন তার মা। আর তারপর থেকেই নজর কেড়েছে ওই খোলা চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনদের। এখনো পর্যন্ত ওই চিঠিতে লাইকের সংখ্যা ১১০০০ ছুঁইছুঁই।