ভিন জেলার হাসপাতালে গিয়ে রোগীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে নজির গড়লো প্রশাসন

লাল্টু : দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ভিন জেলায় চিকিৎসারত রোগীর কাছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌঁছে দিয়ে নজির গড়লো বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লক প্রশাসন। প্রশাসনিক কর্তারা জরুরী ভিত্তিতে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে তুলে দিয়ে আসেন। এর আগেও ছুটির দিনে জরুরী ভিত্তিতে অসহায় মানুষদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে দেওয়ার নজির রয়েছে এই ব্লকের প্রশাসনিক কর্তাদের।

জানা গিয়েছে, দুবরাজপুর ব্লকের বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলেকুড়ি গ্রামের ষাটোর্ধ সুখময় চক্রবর্তী গত ১২ই জানুয়ারি দুবরাজপুর থেকে কাজ সেরে রাত্রিবেলায় বাড়ি ফিরছিলেন। সেসময় দুবরাজপুর-খয়রাশোল রাস্তায় শাড়িবাগানের কাছে নির্মীয়মান কালভার্টের গর্তে বাইক থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম এবং অচৈতন্য হয়ে পড়েন। প্রথমে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, পরে সিউড়ি সদর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা হয়। শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় সুখময় বাবুকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে কুলেকুড়ি গ্রামের বিপিন মন্ডল নামে এক যুবক দুবরাজপুরের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে সুখময় চক্রবর্তীর বর্তমান শারীরিক অবস্থা ও পারিবারিক আর্থিক অবস্থার কথা জানান। এরপর দুবরাজপুরের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনিরুদ্ধ রায় সুখময় বাবুর সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন এবং পরিবারের লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

যার পরেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করার টিম। দুর্গাপুরের সুখময় বাবু যে বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি আছেন রাত্রিবেলায় সেখানে গিয়ে ছবি তুলে চিকিৎসার জন্য পরিবারের হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেওয়া হয়।

দুবরাজপুরের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনিরুদ্ধ রায় জানান, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির স্বপ্নের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সাধারণ মানুষকে দিতে আমরা সদা তৎপর আছি। ইতিমধ্যেই ১৫ জনের উপর মানুষকে আমরা জরুরী ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিতে পেরেছি। এই পরিষেবা দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। সুখময় বাবু যতক্ষণ না সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন দুবরাজপুর ব্লক প্রশাসন তার পাশে আছে।”