সৌরভ না শুভেন্দু, একুশে বাংলার মুখ নিয়ে মুখ খুললেন অমিত শাহ

নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার দুই দিনের সফর শেষ করলেন। এই সফর চলাকালীন সাংগঠনিক দিকগুলিকে দেখার পাশাপাশি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। এই সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের মধ্যে সবথেকে বেশি যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মুখে হবেন?

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে সামনে পেয়েই প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। ইজেডসিসি-তে সাংবাদিকদের মধ্যে থেকে প্রশ্ন উঠে বিজেপির মুখে হবেন? সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় না শুভেন্দু অধিকারী? আর এই প্রশ্ন শুনেই অমিত শাহ একুশে বিজেপির মুখ নিয়ে মুখ খুললেন।

আসলেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার বিজেপি কে হবেন? যোগ্য ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে কিনা? এনিয়ে প্রথম থেকেই কয়েকটি প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। আর এই সকল প্রশ্নের উত্তরে ঘটনাক্রমে উঠে আসছে দুটি নাম। একটি হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং অন্যটি শুভেন্দু অধিকারী।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এমন একটি নাম যাকে ঘিরে রয়েছে বাঙালির আবেগ। তিনি একজন ভারতীয় ক্রিকেটের সফল অধিনায়ক, প্রশাসক হিসাবেও সফলতা রয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিসিসিআই-এর সভাপতির পদ থেকে বিচক্ষণতার সাথে সামলাতে দেখা গিয়েছে। আবার অনেকেরই মত অমিত শাহের হস্তক্ষেপে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে আবার ইদানিং শুভেন্দু অধিকারীর গতিপ্রকৃতি বোঝা দায় হয়ে পড়েছে। শাসক দলের ব্যানার ছাড়া তাকে বহু মঞ্চে দেখা গিয়েছে, আবার সেই সকল মঞ্চে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উপড়াতেও দেখা গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পড়তে শুরু করেছে ‘আমরা দাদার অনুগামী’ পোস্টার। আর এসবের পরেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অনেকেই মত পোষণ করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছে বলে। এমনকি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ অন্যান্যরাও জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে এলে তাকে স্বাগত। তবে এখনো এবিষয়ে দুপক্ষের তরফ থেকেই নিশ্চিত কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি। শুভেন্দু অধিকারী এবিষয়ে জানিয়েছেন, সমস্তটাই মিডিয়ার জল্পনা। অন্যদিকে বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও আবার জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীর সাথে কোন কথা হয়নি।

এমত অবস্থায় যখন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মুখ নিয়ে নানান জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে তখন অমিত শাহ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জানালেন, “দুটো নামেই সীমিত নেই। মস্ত লম্বা তালিকা রয়েছে। তবে আমার সঙ্গে কারোর কথা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দলের সভাপতি নির্বাচন করবেন। ভারতীয় জনতা পার্টির সংসদীয় বোর্ড আছে। তবে বহু জায়গায় মুখ ছাড়াই লড়াই করেছে বিজেপি এবং তাতে বড় সাফল্য এসেছে। উদাহরণস্বরূপ উত্তর যেখানে কোন মুখ ছিল না তবুও তিন-চতুর্থাংশ আসন পেয়েছে বিজেপি।”