এনআরসি-র জন্য যে যে প্রয়োজনীয় নথি হাতের কাছে রাখবেন, দেখে নিন তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : আসামে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে এনআরসি। আর এই এনআরসি নিয়ে তালিকা প্রকাশের পর প্রথমে দেখা গিয়েছিল বাদ পড়েছিল প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের নাম, পরে আবার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয় যেখানে দেখা গিয়েছে বাদ গিয়েছে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম। বিজেপি নেতাদের দাবি বাংলাতেও হবে এনআরসি, আর শুধু বাংলাতেই নয় গোটা দেশেই এনআরসি হবে বলেও দাবি করেছেন তারা।

বাংলা এনআরসির প্রসঙ্গ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইতিমধ্যেই মন্তব্য করেছেন, বাংলায় এনআরসি হবেই, এনআরসি হলে ২ কোটি মানুষের নাম বাদ পড়বে। অন্যদিকে এনআরসির বিরোধিতা করে পথে নেমেছে তৃণমূলও। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির শ্যামবাজারের পাঁচমাথা মোড়ে এনআরসি নিয়ে বিজেপিকে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দু’কোটি তো দূরের কথা, দুজনের গায়ে হাত দিয়ে দেখাক। আমি বেঁচে থাকতে বাংলায় এনআরসি হতে দিবো না। আমার পরবর্তী চার প্রজন্ম এমন তৈরি করে যাবো, তখনও এনআরসি হবে না।

তবেই প্রাসঙ্গিকভাবে এটাও জেনে রাখা প্রয়োজন বাংলায় এনআরসি নিয়ে কোন পদক্ষেপ এখনো পর্যন্ত গ্রহণ করা হয় নি। আর যে পরিমাণে তোড়জোড় পড়েছে তাতে করে বাংলায় এনআরসির ভবিষ্যৎ ভবিষ্যতেই বলবে। কিন্তু যদি বাংলায় এনআরসি হয় তাহলে হাতের কাছে গিয়ে যে ডকুমেন্ট বা নথিগুলি রাখা প্রয়োজন। অসমের নাগরিকদের দেখানো নথির ভিত্তিতে দেখে নিন সেই তালিকা।

তালিকা – ১

অসমের বাসিন্দাদের ১৯৭১ সালের ২৪ শে মার্চের মধ্যরাতের আগের নিম্নলিখিত নথিপত্রে নাম থাকলে তিনি এনআরসিভুক্ত হবেন।

  • ১৯৫১-র এনআরসি তালিকা
  • ১৯৭১-র ভোটার তালিকায় নাম।
  • জমি ও ভাড়াবাড়ির প্রমাণ।
  • নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট
  • স্থায়ী বসবাসের শংসাপত্র
  • শরণার্থী সার্টিফিকেট
  • পাসপোর্ট
  • এলআইসি পলিসি
  • সহকারী লাইসেন্স অথবা সার্টিফিকেট
  • ব্যাংক অথবা পোস্ট অফিসে একাউন্ট
  • সরকারি চাকরির সার্টিফিকেট
  • জন্মের শংসাপত্র
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট
  • আদালতের নথিপত্র

তালিকা -২

বাবা-মা, ঠাকুরদা, ঠাকুরমা ১৯৭১ সালের ২৪ শে মার্চের আগের নিম্নলিখিত নথির তালিকায় নাম থাকলেও মিলতে পারে নাগরিকত্ব।

  • জন্মের শংসাপত্র।
  • জমির রেকর্ড।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট।
  • ব্যাংক, এলআইসি অথবা পোস্ট অফিসের নথিপত্র।
  • বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে সার্কেল ইনস্পেক্টর বা গ্রাম পঞ্চায়েত সচিবের সার্টিফিকেট।
  • ১৯৭১ সালের আগে ভোটার তালিকায় নাম।
  • রেশন কার্ড।
  • এ ছাড়াও অন্য যে কোন আইনগতভাবে বৈধ সরকারি কাগজপত্র।