‘জলসঙ্কট’, মায়ের আগমনে জল সঞ্চয়ের বার্তা দিবে থিম

লাল্টু : ‘জলসঙ্কট’, এই মুহুর্তে বিশ্বের সবথেকে বড় সমস্যা। ধীরে ধীরে পৃথিবীর ভূগর্ভস্থ জল শেষ হতে চলেছে। আর জল ছাড়া জীবন অসম্ভব। তাই এই জল সংকট নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিশ্বের তাবড় তাবড় বিশেষজ্ঞরা। আগামী দিনে জীবকুলকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে একমাত্র উপায় হলো সঞ্চয়। আর এই জল সংকটের প্রকোপ থেকে মুক্তি নেই ভারতেরও। এই সমস্যাকে মাথায় রেখেই বীরভূমের দুবরাজপুরের দাসপাড়া ও ডাকবাংলা পাড়া পুজো কমিটি এবার জল সঞ্চয়ের বার্তাকেই তুলে ধরার চেষ্টায় ‘জলসঙ্কট’ থিমের মাধ্যমে।

পুজো কমিটির সম্পাদক গোপাল দত্ত জানান, “ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমরা ভূগর্ভস্থ ৫০ শতাংশ জল শেষ করে ফেলবো, যদি তা এত অপরিমিত ভাবে ব্যবহার করা হয়। তাই আমরা এই থিমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের বার্তা দিতে চাই ভূগর্ভস্থ জলকে এইভাবে ব্যবহার না করার জন্য।”

তিনি আরও জানান, “আমাদের এই থিমে ফুটে উঠবে একটি শহর। সেই সময়ের ভূগর্ভস্থ জল তুলতে তুলতে জনশূন্য হয়ে পড়েছে এবং ওই স্থানটি বসে গিয়েছে। আর সেই মুহূর্তে মানুষ কাকে অবলম্বন করে বাঁচবে! বাঁচবে কেবল ক্যাকটাসকে অবলম্বন করে। কারণ অল্প জলে একমাত্র ক্যাকটাসই হয়, অন্যকিছু হতে পারেনা। আর তাই আমাদের এবছরের প্রতিমাও ক্যাকটাস অবলম্বী।”

এছাড়াও এই পুজো কমিটি সাধারণ মানুষদের মধ্যে জল বাঁচানোর সচেতনতা মূলক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে দর্শনার্থীদের হাতে একটি করে জলের বোতল দেওয়ার। যে জলের বোতলে লেখা থাকবে, ‘পানীয় জল বাঁচান জীবন বাঁচান’। তারা এই এত সকল বিষয়কে তুলে ধরেছেন মাত্র ৫ লক্ষ টাকার বাজেট নিয়ে, আর এই পুজো এবছর নবম বর্ষে পা রাখলো।

তবে এই সকল চিন্তা ভাবনার মধ্যে বাঁধ সেধেছে বৃষ্টি। বিগত কয়েকদিনে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টিতে আটকে রয়েছে মন্ডপের অনেক কাজই। যদিও আজ সূর্যের আলোর দেখা মেলায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে পুজো উদ্যোক্তারা থেকে শুরু করে শিল্পীরা।