নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও পরিবার কল্যাণ দফতরের দ্বারা সন্দেহভাজন করোনা রোগী ও সংক্রামিত রোগীদের জন্য নতুন করে নির্দেশাবলী ঘোষণা করা হয়েছে। সেই নির্দেশাবলীতে চিকিৎসক, শুশ্রুষাকারী, চিকিৎসা বিভাগের অফিসার ও রোগীদের করণীয় কি তা বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে।
হোম আইসোলেশনে কারা থাকবেন ও থাকার নিয়মাবলী
১. মেডিক্যাল অফিসারদের দ্বারা চিহ্নিত করোনা ভাইরাসের লক্ষণ আছে বা লক্ষণের সম্ভবনা দেখা দিচ্ছে এমন ব্যক্তিদের।
২. সমস্ত ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের। ব্যবস্থা করতে কোয়ারেন্টাইনের সেইসব ব্যক্তিদের জন্য যারা পরিবারের সংস্পর্শে এসেছে।
৩. রোগীদের পরিদর্শনের জন্য ২৪ ঘন্টার ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালের সঙ্গে কেয়ার গিভারদের অনবরত যোগাযোগ রাখতে হবে রোগীর নির্দিষ্ট হোম আইসোলেশন থাকার সময়।
৪. রোগীর কেয়ার গিভার ও সংস্পর্শে আসা অনান্য ব্যক্তিরা হাইড্রোক্সি ক্লোরকুইন ও প্রোফিলেক্সিস মেডিক্যাল অফিসারদের নির্দেশ মতো ব্যবহার করবেন।
৫. আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করবেন। সবসময়ের জন্য ব্লুটুথ ও জিপিএস অন রাখতে হবে।
৬. রোগী নিয়মিত নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন এবং স্বাস্থ্যের খবর জেলা পর্যবেক্ষকের কাছে পাঠাবেন। যাতে নতুন নির্দেশাবলী এলে তা মেনে চলতে পারেন।
৭. রোগী নিজ আইসোলেশনে থাকার সব নিয়ম মেনে চলবেন।
কখন চিকিৎসা পরিষেবার আবেদন করা যাবে
১. শ্বাসকষ্ট শুরু হলে। ক্রমাগত বুকে চাপ ও যন্ত্রণা শুরু হলে।
২. মানসিক বিভ্রান্তি ও ঘুম থেকে জেগে না উঠতে পারা।
৩. ঠোট ও মুখের রং ফ্যাকাসে অস্বাভাবিক হয়ে যাওয়া।
৪. স্বাস্থ্য কর্মীর দ্বারা রোগ চিহ্নিত হলে।
কখন হোম আইসোলেশনের দরকার হবে না
গৃহ আইসোলেশনে থাকতে হবে ১৭ দিন পর্যন্ত। রোগ ধরা পড়া বা সম্ভাব্য লক্ষণসমূহ ধরা পড়ার দিন থেকে। এবং তার মধ্যে ১০ দিন কোন প্রকার জ্বর না থাকলে।
গৃহ আইসোলেশনের সময়সীমা পেরোনোর পর আর পরীক্ষার দরকার হবে না।
শুশ্রুষাকারীদের করোনীয় পদক্ষেপ
১. রোগীরা সবসময় তিন স্তরের মাস্ক ব্যবহার করবেন।
২. ৮ ঘন্টা ব্যবহার করার পর ওই মাস্ক বাতিল করে দিতে হবে। যদি দেখা যায় তার আগেই মাস্কটি ভিজে গেছে বা খুব শক্ত হয়ে গেছে তা তখনই বাতিল করে দিতে হবে।
৩. রোগীকে একটি নির্দিষ্ট ঘরে রাখতে হবে এবং বাড়ির অন্যদের দূরে রাখতে হবে। বিশেষ করে বাড়ির বয়স্ক ব্যক্তি এবং উচ্চ রক্তচাপ, কার্ডিওভাসকুলার ও রেন্টাল রোগ আছে এমন ব্যক্তিদের।
৪. রোগী পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নেবেন ও প্রচুর জল খাবেন যাতে শরীরে জল যোজন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে।
৫. শ্বাস নেওয়া, সর্দি কাশির যে নির্দেশাবলী আছে তার মেনে চলতে হবে।
৬. ঘন ঘন হাত পরিস্কার করতে হবে।অন্তত ৪০ সেকেন্ড ধরে। অথবা ব্যবহার করা যেতে পারে অ্যালকোহল জাতীয় স্যানিটাইজার।
৭. রোগীর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ব্যবহার করা যাবে না।
৭. পরিষ্কার করতে হবে ঘরের মেঝে।
The Ministry of Health & Family Welfare has issued revised guidelines for home isolation of very mild/pre-symptomatic #COVID19 cases pic.twitter.com/hTPcGRBqxd
— ANI (@ANI) May 11, 2020
৮. রোগী নিজেই নিজের পরিক্ষা নিরিক্ষা করবেন। দেখবেন তাপমাত্রা আছে কিনা। যদি শারীরিক অবস্থা খারাপ হয় তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।