বিজেপিকে রুখতে প্রশান্ত কিশোরের নয়া কৌশল, ৫ লাখ সেনা নিয়োগ হচ্ছে মমতার জন্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিগত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবির পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি শরণাপন্ন হন পলিটিক্স স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের। প্রথম বৈঠকেই মমতা ব্যানার্জির হয়ে কাজ করার সম্মতি মেলে প্রশান্ত কিশোরের থেকে। এই মুহুর্তে ২০২১-এর বিধানসভায় সাফল্য পেতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিও প্রশান্ত কিশোরকেই ভরসা রাখছেন। ইতিমধ্যে দু’বার আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। সেই বৈঠক গুলিতে প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের আগামী দিনের কর্মসূচি সম্পর্কে কয়েকটি নির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

কর্মীদের আচার-আচরণ কি হবে, আগামী দিনে কিভাবে তৃণমূল ঘুরে দাঁড়াবে, এসব পরিকল্পনা ছাড়াও ২০২১ সালে সিংহাসন দখলে রাখার ক্ষেত্রে প্রশান্ত কিশোর মস্ত বড় এক পরিকল্পনা নিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি জন্য। খুব সূক্ষ্মভাবে সাধারণ মানুষদের বুঝে ওঠার আগেই এই পরিকল্পনা প্রশান্ত কিশোরের।

“ইয়ুথ ইন পলিটিক্স”, রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সব থেকে চর্চিত নাম। এর মাধ্যমেই মমতা ব্যানার্জির হয়ে প্রচারে নেমেছেন প্রশান্ত কিশোর। মমতার হয়ে কাজে তাঁর প্রথম পদক্ষেপ হলো যুব সম্প্রদায়কে রাজনীতিতে টেনে নিয়ে আসা। তার পরিকল্পনা তৃণমূলের হয়ে ৫ লক্ষ যুবককে রাজনীতিতে যোগদান করানো। যারা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে কাজ এবং প্রচার করবে।

‘ইয়ুথ ইন পলিটিক্স’ উদ্যোগের মাধ্যমে বর্তমানে প্রতিদিন পাঁচ হাজার যুবককে রাজনীতিতে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনের সেই সংখ্যা প্রতিদিন ১০ হাজারও ছাড়াতে পারে। আর এই সকল যুবকদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করার কথা ভেবেছেন প্রশান্ত কিশোর। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই সেই টিম তৈরি করে নেওয়ার পরিকল্পনা রেখেছেন তিনি। টিমের প্রশিক্ষণ কাজও আগামী ১৫ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করার টার্গেট রয়েছে তাঁর।

Source

তবে সূত্রের খবর, এই ৫ লক্ষ সেনা শুধু তৃণমূলের হয়ে নয়, তাদের নিজের পছন্দের রাজনৈতিক দলের হয়েও কাজ করতে পারবে। যদিও প্রশান্ত কিশোরের মূল বাজি হলো তৃণমূল। আর সে কারণে তৃণমূল ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের এই উদ্যোগকে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে শুরু করে দিয়েছে।

কিন্তু এত কিছুর পরেও পরিস্থিতি যে বেগতিক তা বুঝতে পারছেন মমতা ব্যানার্জি। তাই এককভাবে না হলেও সমবেতভাবে বিজেপিকে আটকানোর বার্তাও দিচ্ছেন তিনি। তবে কি তৃণমূলের শক্তি জাগাতে নিজের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না মমতা? এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।