নিজস্ব প্রতিবেদন : ইদানিংকালে বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা নেত্রীকে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি এই ক্ষোভ উগরে দেওয়ার ঘটনায় নতুন সংযোজন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দি রায়।
তবে এর আগেও দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকা আরও একজন জনপ্রতিনিধি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জিইয়ে রেখেছেন ধোঁয়াশা। আর এই দুই জনপ্রতিনিধি শনিবার পরপর আসছেন ফেসবুকে।
ডোমজুড়ে বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইদানিংকালে একাধিক অরাজনৈতিক সভায় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে। এরপর দিন কয়েক তিনি নিজেকে সংযত রাখলেও তিন দিন আগে ফেসবুকে পোস্ট করে জানান শনিবার দুপুর তিনটের সময় তিনি ফেসবুক লাইভে আসবেন।
রাজিব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এইভাবে লাইভে আসার ঘোষণা সাম্প্রতিককালের পরিস্থিতি অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনার সৃষ্টি করছে। রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ওই দিন হয়তো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে হয়তো কিছু একটা শোনা যেতে পারে।
আর সাম্প্রতিককালের এমন পরিস্থিতির মাঝেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বিক্ষুব্ধদের তালিকায় নতুন সংযোজন ঘটে শতাব্দি রায়ের। তিনিও শনিবার দুপুর দুটোর সময় ফেসবুকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন বলে জানিয়েছেন। আর এই সিদ্ধান্ত জানানোর দিনক্ষণের ঘোষণার পাশাপাশি শতাব্দি রায়কে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতেও দেখা গিয়েছে।
তার কথায়, তিনি সবসময়ই সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চাইলেও দলের একাধিক কর্মসূচির খবর তার কাছে যায় না। আর এই কারনেই তিনি সমস্ত কর্মসূচিতে থাকতে পারেন না।
আর এইভাবে তৃণমূলের দুই জনপ্রিয়কে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি আগামী শনিবার তারা কি ঘোষণা করেন তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বাংলার মানুষ।