রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের পথ চলা শুরু, জেলাবাসীদের জন্য রয়েছে আরও সুখবর

নিজস্ব প্রতিবেদন : ১লা আগস্ট থেকেই শুরু হলো রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের পড়াশোনা। সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করার পর জেলার উন্নয়নের মুকুটে নতুন পলক। আর এই মেডিক্যাল কলেজের পথ চলা শুরু হবার সাথে সাথে আরও একটি সুখবর রয়েছে জেলাবাসীদের জন্য। সুখবরটি হল, এবার জেলা পেতে চলেছে নার্সিং কলেজও।

Source

কয়েক বছর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রামপুরহাটে এসে রামপুরহাটে একটি মেডিক্যাল কলেজ বানানোর কথা বলেছিলেন। তাঁর পরিকল্পনা এবং সব ইচ্ছামত সেই মেডিকেল কলেজ বানানোর কাজ শুরু হয়ে যায় অনেক আগেই। অবশেষে সমস্ত পথ পেরিয়ে আজ স্বপ্ন পূরণ। বীরভূমের মত প্রত্যন্ত জেলায় এমন একটি মেডিকেল কলেজ জেলাবাসীর জন্য সুখবর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাটের এই মেডিকেল কলেজে পড়াশুনার জন্য রয়েছে ১০০ টি আসন, যার মধ্যে ১৫ টি আসনে সর্বভারতীয় স্তরে মেধাতালিকা থেকে নেওয়া হবে। বাকি ৮৫ টি আসন পূর্ণ করা হবে রাজ্য ভিত্তিক মেধা তালিকা থেকে। অর্থাৎ ঘরের কাছেই ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ খুলে যাচ্ছে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখা মেধা পড়ুয়াদের।

কলেজ সূত্রে এও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের মেধা তালিকা ভিত্তিতে ৮৪ জন পড়ুয়া ভর্তি হয়ে গেছেন, সর্বভারতীয় স্তরের মেধা তালিকা থেকে পাঁচজনও পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন। আজ আরও বাকি কিছু পড়ুয়ার ভর্তি হওয়ার কথা রয়েছে।

সদ্য পথ চলা শুরু করা রামপুরহাটের এই মেডিক্যাল কলেজে প্রতিটি বিভাগে ৭ জন করে শিক্ষক নিয়োগের মোট ৫৯ থেকে ৬০ জন শিক্ষক ইতিমধ্যেই নিযুক্ত হয়েছেন। মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানানো হয়েছে আরও ১৫ থেকে ১৬ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে খুব শীঘ্রই।

রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল শিখা ব্যানার্জি জানান, “দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এই স্বপ্ন ছিল মেডিক্যাল কলেজের, যে স্বপ্ন আজ পূর্ণ হল। এখান থেকে বহু ছাত্র-ছাত্রী ডাক্তার হয়ে ডাক্তারি পেশায় যুক্ত হবেন, ডাক্তারি পরিষেবা আরও উন্নত হবে। মেডিক্যাল কলেজ থেকে হোস্টেল বেশ কিছুটা দূরে হওয়ায় এসবিএসটিসির সহযোগিতায় একটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

নতুন মেডিক্যাল কলেজ সম্পর্কে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সদিচ্ছা এবং ভাবনায় এই সফলতা। এই মেডিকেল কলেজে চালু হবে এমআরআই, দিদির কাছে চাওয়া হয়েছে নিউরোলজি বিভাগটি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আগে এমআরআই করানোর জন্য জেলার বাসিন্দাদের ছুটে যেতে হতো পার্শ্ববর্তী জেলা বর্ধমানে। বর্তমানে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে জেলাবাসীদের আর ছুটতে হবে না বর্ধমান।