ইন্দ্রগাছা বামাকালী, পুজোর দিনেই রং, চক্ষুদান, ৫০০ বছরের রীতি আজও

নিজস্ব সংবাদদাতা : বীরভূমের ইন্দ্রগাছা গ্রামের বামাকালী ৫০০ বছরের পুরাতন পুজো। জেলার কালীপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। এই গ্রামের বামাকালীর পুজোর রীতি অন্যান্য পুজোর থেকে আলাদা। আনুমানিক ১৩ ফুট উচ্চতার এই বামাকলীর রং ও চক্ষুদান পুজোর দিনেই হয়ে থাকে, এই রীতি দীর্ঘ ৫০০ বছরের পুরাতন। চক্ষুদান পালাগানের পরেই হয়, তবে এ বছর পালাগানের ক্ষেত্রে কাটছাঁট হয়েছে বলে মন্দির কমিটি সূত্রে খবর।

কথিত আছে, মনিরাম গোঁসাই নামে এক সাধক হোরকুনা দিঘির ধারে এই বামা কালী মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গ্রামের নাম ইন্দ্রগাছা, তবে লোকমুখে ইনগাছা নামেই পরিচিত। এখানকার মায়ের মূর্তি রং, চক্ষুদান এবং ডাকের সাজ পুজোর দিনেই করা হয়। কাঠে আগুন জ্বালিয়ে তৈরি করা হয় ভুসোকালি কালো রং। গত বছর পর্যন্ত সন্ধ্যায় পালাগান হয়েছে এবং তারপরেই চক্ষুদান হয়েছে। কিন্তু এবছর পালাগান হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পুজো কমিটির সদস্যরা।

মূল মন্দির থেকে বেশ কিছুটা দূরে গঠন মন্দিরে মায়ের মূর্তি গড়ার কাজ শুরু হয় তেরোদশির দিন থেকে। পুজোর দিন রাত্রি দুটো নাগাদ মূর্তিকে ৪০ ফুটের বড় শাল কাঠের উপর চাপিয়ে কাঁধে করে নিয়ে আসা হয় মূল মন্দিরে। যা দেখতে অজস্র ভক্তের সমাগম হয় কালীপুজোর রাতে। পুজোর পর ভাইফোঁটার দিন মায়ের নিরঞ্জন হয়।